তালিকা খতিয়ে দেখার অনুরোধ, কিষাণ নিধি নিয়ে মমতাকে চিঠি কৃষিমন্ত্রীর

যে সমস্ত কৃষক আবেদনকারী হিসেবে রয়েছেন তাদের তালিকা খতিয়ে দেখার অনুরোধও জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। 

a2a551fc72e0a8239d882f1aabf28d81

কলকাতা: কিষাণ নিধি সম্মান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। কেন্দ্রীয় প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তরফে নোডাল অফিসার নিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে এই চিঠিতে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত কৃষক আবেদনকারী হিসেবে রয়েছেন তাদের তালিকা খতিয়ে দেখার অনুরোধও জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। 

কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পশ্চিমবঙ্গের ২১ লক্ষ ৭৯ হাজার কৃষক কেন্দ্রীয় পোর্টালের নাম নথিভুক্ত করেছেন, কিন্তু রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র না মেলায় তারা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের যাবতীয় তথ্য রাজ্যের পোর্টালে দ্রুত পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি দেন। এমনকি এও জানানো হয়, কৃষকদের তথ্য হাতে আসলে সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকার কৃষকদের তথ্য ভ্যারিফাই না করার জন্য কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ঢুকছে না। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে এবার সহায়তার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক কারণেই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাণ নিধি’ – এই দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা ইচ্ছে করেই গ্রহণ করছে না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, যার জেরে এখানকার কৃষক এবং সাধারণ মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছেন, এমন অভিযোগ এখনও করে ভারতীও জনতা পার্টি শিবির। বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী এই দুই সুবিধা চালু না করায় মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *