২০১৯-এ যে কটা পদ্ম ফুটেছে, সব বানের জলে ভেসে যাবে! বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

স্পষ্ট দাবি করলেন, ২০১৯ সালে যে কটা পদ্ম ফুটে ছিল, সব বানের জলে ভেসে যাবে! একইসঙ্গে দাবি করলেন, আজকের দক্ষিণ দিনাজপুরে এই সভা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

d7c794b792c3a894a53976dd28c10fde

গঙ্গারামপুর: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আসন শূন্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হারানো মাটি ফিরে পাবার প্রয়াসে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে জনসভা করে বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। স্পষ্ট দাবি করলেন, ২০১৯ সালে যে কটা পদ্ম ফুটে ছিল, সব বানের জলে ভেসে যাবে! একইসঙ্গে দাবি করলেন, আজকের দক্ষিণ দিনাজপুরে এই সভা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

এদিন গঙ্গারামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে অভিষেক ফের একবার নাম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন এরা সবাই গুন্ডা। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বহিরাগত বলে তোপ দেখেছেন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে অভিষেক বলেন, হাতে আর পাঁচ মাস হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে। মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে ফলাফল ঘোষণা হবে, তারপর বিজেপি বিদায় হবে বাংলা থেকে। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছর উন্নয়নের জোয়ার থেকে বাংলার কোন পরিবার বঞ্চিত হবে না। 

বহিরাগত ইস্যু নিয়ে এদিন ফের বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। বলেন, বহিরাগতরা এসে বাংলার কৃষ্টি নষ্টের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে যারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান দিয়েছেন তাদের সকলকে নিশানা করে অভিষেক বলেছেন, সব বেইমান আর ডাকাত বিজেপিতে ঢুকে গেছে। তবে যেই হোক কাউকে ছাড়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পাকিস্তান এবং চিনের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, সকলেই চায় পাকিস্তানের লাল চোখ গুড়িয়ে দেওয়া হোক, একইসঙ্গে যে দেশ ভারতের জমি দখল করতে চাইবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে সকলে। তবে সেনাবাহিনী প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। মন্তব্য করেছেন, বিজেপি ঠিক নির্বাচনের আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করে, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর সবাইকে ভুলে যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *