কলকাতা: সম্প্রতি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। শুধু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে নয়, হাওড়া জেলার সহ-সভাপতি পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। অন্য দলে যাচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে লক্ষ্মীরতন প্রথম থেকেই বলছিলেন তিনি আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান খেলাধুলার জগতে বেশি সময় দেওয়ার জন্য। এদিন পদত্যাগ করার পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তিনি।
এদিন লক্ষ্মী বলেন, ক্রীড়াবিদ পরিচয় তাঁর সব থেকে বড় পরিচয়। তার এটা জেনে খুব ভাল লাগছে যে এখন সবাই তাঁকে এইভাবে চেনে। তিনি এদিন স্পষ্ট আরো একবার জানান, আপাতত রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারুর ওপর কোনো ক্ষোভ নেই তাঁর, এমনকি বিরোধী নেতাদের ওপরেও ক্ষোভ নেই। সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের তিনি এদিন ধন্যবাদ পর্যন্ত জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বরাবর সুসম্পর্ক এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলেই দাবি করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মেয়াদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিধায়ক পদেই রইবেন, মানুষের জন্য কাজ করাটাই আসল উদ্দেশ্য তাঁর, সেই কারণে এখনও রাস্তায় বেরোবেন তিনি।
পদত্যাগ করার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যবাসীকে হিংসা থেকে দূরে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি বলেন, সকলে যাতে একে অপরের খেয়াল রাখতে পারে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। হিংসা থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গেই জনগণের সেবা করে যাওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। লক্ষ্মীর বক্তব্য, শুধুমাত্র রাজনীতি করেই জনগণের সেবা করা যায় এমনটা নয়, রাজনীতি ছাড়াও জনগণের সেবা করা যায়। ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।