হঠাৎ রাজীব-রথীন আলোচনা, তৃণমূলের ২ ‘বেসুরো’ নেতার বৈঠক ঘিরে চাঞ্চল্য

একটি কথায় ব্যাখ্যা করতে গেলে দুজনের ক্ষেত্রে একটিমাত্র শব্দই প্রযোজ্য, বেসুরো। তৃণমূল কংগ্রেসের দুজন বেসুরো নেতার এদিন বৈঠক হল, সেই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর চাঞ্চল্য না ছড়ানোর কোন কারণ নেই কারণ দুজন নেতার নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রথীন চক্রবর্তী।

05c6c30b0b51e34483c24c97bb270132

কলকাতা: একটি কথায় ব্যাখ্যা করতে গেলে দুজনের ক্ষেত্রে একটিমাত্র শব্দই প্রযোজ্য, বেসুরো। তৃণমূল কংগ্রেসের দুজন বেসুরো নেতার এদিন বৈঠক হল, সেই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর চাঞ্চল্য না ছড়ানোর কোন কারণ নেই কারণ দুজন নেতার নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রথীন চক্রবর্তী। একজন রাজ্যের মন্ত্রী, অন্যজন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র। যদিও এই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।

বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কোন রকম প্রতিক্রিয়া না মিললেও এই বৈঠকের প্রেক্ষিতে রথীন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই বৈঠক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ, তাই তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। রাজনৈতিক কোনো কথা আলোচনা হয়নি। তবে তিনি তাঁর ক্ষোভ প্রসঙ্গে যেদলকে জানিয়েছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানিয়ে রথীন চক্রবর্তী। বলেন, বড় সংসারে থাকলে ঠোকাঠুকি লাগে, কিছু ক্ষেত্রে অসম্মানিত বোধ করছেন তিনি সেকথা দলকে জানিয়েছেন। যদিও দলের তরফে এখনো যোগাযোগ করা হয়নি তাঁর সঙ্গে, এমনটাই দাবি তাঁর। 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। বলেছিলেন, গোটা দলের হয়ে কথা বলছেন গুটি কয়েকজন। এখানে বারবার মনে হচ্ছে যে কাজ করা সম্ভব হবে না। এখানে যারা নিজেদের দোষ ঢাকছে, তারা ক্রমাগত অন্যকে দোষারোপ করছে। রথীন চক্রবর্তী বলেন, কতকজন নেতা দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, যত দিন যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা প্রায় প্রত্যেকেই দলের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন ইতিমধ্যে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী ডালমিয়া, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পর বেসুরো হয়েছেন রথীন চক্রবর্তীও।

অন্যদিকে, পদত্যাগ করে ঘনিষ্ঠ মহলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা দাবি করেছিলেন, বিগত সাড়ে চার বছর ধরে তাঁর কাছে কোনো ফাইল আসেনি, তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চাইছিলেন কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৈশালী ডালমিয়া দলের একাংশের বিরুদ্ধে কথা বলে বলেছেন, উইপোকার মত কিছু লোক দলকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের একমাত্র কাজ দলের বিধায়কদের অপমান করা। এদিকে পরপর চারবার মন্ত্রিসভার বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *