‘সাংবিধানিক ন্যায়বিচার চাই’, এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিনয় তামাংয়ের

তবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নয়, একই চিঠি বিনয় তামাং পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। 

bd8287458cc9a6c38fb3e53c23599882

কলকাতা: গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সাংবিধানিক বিচার চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং। তরাই, ডুয়ার্স এবং পাহাড়সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে গোর্খাদের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছেন তিনি। তবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নয়, একই চিঠি বিনয় তামাং পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। 

বিনয় তামাং জানিয়েছেন, এই নিয়ে কমপক্ষে তিনবার এই ধরনের চিঠি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠিয়েছেন। যদিও সেই ভাবে কোনরকম পদক্ষেপ বা আলোচনার ব্যাপার বাস্তবায়িত হয়নি বলেই বুঝে গেছে সকলে। বিগত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর হঠাৎ রাজ্য রাজনীতি আঙিনায় উদয় ঘটেছে বিমল গুরুংয়ের। কলকাতায় বৈঠক করার পর তাঁকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। এদিকে এখন জানা গিয়েছে যে বিমল গুরুং পাহাড়েই রয়েছেন, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। দুজনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার চরম জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে, যদিও এ ব্যাপারে গুরুংপন্থী অথবা রাজ্য সরকারের তরফে কিছুই প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই আবহে ফের গোর্খাদের ন্যায় বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিনয় তামাংয়ের চিঠি দেওয়া অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন। দাবি করেছেন যে পাহাড়ে বিজেপির প্রতারণা করছে। এদিকে বিনয় তামাং গোষ্ঠীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে গোর্খাল্যান্ড সম্পর্কিত বিষয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা একাধিকবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দেখেছেন। নিজে দাবি করেছেন যে পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। আর কয়েক মাস বাদেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। তার আগে গোর্খাল্যান্ড এবং গোর্খাদের ন্যায় বিচার চেয়ে বিনয় তামাং যে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তা বিরাট তাৎপর্যপূর্ণ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেইসঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে এর একটা বড় প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *