কলকাতা: আগামী নির্বাচনের রণকৌশন নিয়ে আলোচনা করতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্ধোপাধ্যায় গতকাল দলীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে অংশ নেন। কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের উপস্থিতিতে আয়োজিত বৈঠকে প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সকলে নেতাই হাজির হয়েছিলেন। একেই সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। এই বৈঠক থেকেই ওর্য়াকিং কমিটির নতুন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় শোভবদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটকের নাম। একই সঙ্গে মমতা বার্তা দেন, দলে কে এল, আর গেল, তাতে বেশি গুরুত্ব না দিতে।
এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকে ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ দলের প্রথম সারির নেতৃত্ববৃন্দ। যদিও তাঁদের তরফে জানান হয়েছে যে এটা ‘রুটিন মাফিক’ বৈঠক। কিন্তু হঠাৎ দলের প্রথম সারির নেতাদের এইভাবে বৈঠকে ডাক নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে জানা যায়, ওর্য়াকিং কমিটির নতুন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তিনজনের নাম, তারা হলেন, শোভবদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটক। এই নাম ঘোষণার পাশাপাশি দলের নেতাদের সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন তৃণমূল সু্প্রিমো বলে জানা গিয়েছে।
আর কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একে একে বিধায়ক এবং নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের রণকৌশন নিয়ে গতকালের এই বৈঠক যে মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ ছিল তৃণমূলের জন্য তাতে কোনও সন্দেহ নেই। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, গতকালই নন্দীগ্রামে ‘হেভিওয়েট’ সভা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীও। সেখানে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ২০০ আসন নিয়ে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যাবেন নবান্ন! একই দিনে তৃনমূলের এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা বাড়ছে।