কাঁথির ‘মেজবাবু মিরজাফর’, ময়দানে বুঝে নেওয়ার চরম হুঁশিয়ারি কল্যাণের

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে এদিন বারাকপুরের সভায় সেই কথা বললেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকেই এদিন তিনি সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক নেতাকে তুলোধনা করতেও ছাড়ালেন না। 'মিরজাফর' আখ্যা দিয়ে 'কাঁথির মেজবাবু'কে একহাত নেন তিনি।

বারাকপুর: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে শনিবার বারাকপুরের সভায় সেই কথা জানিয়ে দিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকেই এদিন তিনি সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের তুলোধনা করতেও ছাড়েনি। ‘মিরজাফর’ আখ্যা দিয়ে ‘কাঁথির মেজবাবু’কে একহাত নেন তিনি।

বারাকপুরে দাঁড়িয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না গেলে ‘কাঁথির মেজবাবু’র দেখা মিলত না। নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীরা লড়াই করেছেন। আর ‘জমিদার বাড়ির ছেলে’ কাজুবাদাম খেয়ে এসি ঘরে বসেছিলেন। তিনি বলছেন, পান্তা ভাত খেয়ে বড় হয়েছেন। কিন্তু ‘জমিদার বাড়ির ছেলে’ পান্তা ভাত জানেনই বলে কটাক্ষ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই তাঁরা নির্বাচনে জিততে পেরেছেন। অথচ ‘জমিদারবাড়ির ছেলে’ সেকথা অস্বীকার করছেন।

কাঁথির নেতাকে এদিন ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘‘২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যখন ক্ষমতায় আসবেন, তখন ওই মিরজাফরের নাম কেউ নেবে না। কোন মা ওই মিরজাফরের নামে সন্তানের নাম রাখবে না।’’ তিনি বলেছেন, মুর্শীদাবাদে যেমন একজন ‘মিরজাফর’ ছিলেন, কাঁথিতেও রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁকে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের সাংসদ৷ জানান, ময়দানে বুঝে নেবেন৷ তবে, এদিন ‘মিরজাফর’ বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট। কিন্তু এদিন ‘তাঁর’ নাম মুখে আনেননি কল্যাণ। তাঁকে ‘কাঁথির মেজবাবু’ বলেই সম্বোধন করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =