ওয়াশিংটন: আমেরিকায় সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে আবারও মানবাধিকার প্রশ্নের ‘কাঁটা’। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ধেয়ে আসে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বৈষম্য ও সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের স্ষ্ট জবাবও দেন প্রধানমন্ত্রী।
জনৈক মার্কিন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘‘ভারতকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ বলা হয়। অথচ আপনার দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন অনেকে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন হয়েছে। এবিষয়ে কী পদক্ষেপ করছে আপনার সরকার?’’ জবাবে নমো বলেন, ‘‘ ভারতে গণতন্ত্রে আছে৷ ভারত ও আমেরিকা দু’দেশের ডিএনএ-তেই গণতন্ত্র আছে! গণতন্ত্র আমাদের স্পিরিট, আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা কোনও বিভেদকে সমর্থন করি না।’
স্পষ্ট হিন্দিতেই নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরিরা গণতন্ত্রকে সংবিধানের আকারে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের সরকার সেই সংবিধানের পথে চলে। আমাদের গণতন্ত্রে জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম কোনও বিভেদের জায়গা নেই। যদি মানুষের কোনও মূল্য না থাকে, মানুষের অধিকার না থাকে, তা হলে সেটা কোনও গণতন্ত্রই না। ভারত সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসে, সবকা প্রয়াসের নীতিত নিয়ে চলে৷ এই গণতন্ত্রের অধিকার যার আছে, সে ঠিকই পায়। কোনও বৈষম্য করা হয় না। জনস্বার্থে যে সরকারি প্রকল্পগুলি রয়েছে তা সমস্ত যোগ্যরাই পান।’’
#WATCH | “We are a democracy…India & America both have democracy in our DNA. Democracy is in our spirit & we live it and it’s written in our Constitution…So no question of discrimination on the grounds of caste, creed or religion arises. That is why, India believes in sabka… pic.twitter.com/orVkCVkLLf
— ANI (@ANI) June 22, 2023
এদিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছেও জানতে চাওয়া হয়, মোদীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি মানবাধিকার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন কিনা। কারণ তাঁরই প্রশাসনের একাংশ মোদীর সফরের আগে তাঁকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অত্যন্ত সম্মান করি। এবং দুই দেশেই গণতন্ত্র মজবুত অবস্থায় রয়েছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>