মমতার জন্যই কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না বাংলার মানুষ, তোপ নাড্ডার

বর্ধমান: নির্বাচনের আগে বাংলা সফরে এসে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে একবাত নিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন সভায় তিনি বলেন, গত মাসে তিনি বাংলা সফরে এসেছিলেন। এক মাস পরে ফের এলেন। এই এক মাসের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বাংলায়। এক মাস আগে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিল। কিন্তু তাদের মনে ভয় ছিল। কিন্তু এই এক মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এদিন বর্ধমানের ব়্যালি তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন নাড্ডা। তিনি এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বেড়েছে।

বর্ধমান: নির্বাচনের আগে বাংলা সফরে এসে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে একবাত নিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন সভায় তিনি বলেন, গত মাসে তিনি বাংলা সফরে এসেছিলেন। এক মাস পরে ফের এলেন। এই এক মাসের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বাংলায়। এক মাস আগে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিল। কিন্তু তাদের মনে ভয় ছিল। কিন্তু এই এক মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এদিন বর্ধমানের ব়্যালি তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন নাড্ডা। তিনি এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বেড়েছে।

বাংলায় দুর্নীতি ক্রমশ বাড়ছে বলে এদিন অভিযোগ তোলেন নাড্ডা। বলেন, “আমাকে রাস্তায় আটকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হয়।” বাংলায় আইন ও বিচার ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ৩০০ বিজেপি সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। বাগবাজারে ১০০ বিজেপি সমর্থকের তর্পণ করেছিলেন তিনি। গত এক মাসের মধ্যে সাতজন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন। এর জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন নাড্ডা।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আউটপুট বাংলার যেখানে ছিল ২৫ শতাংশ, আজ তা কমে ৩ শতাংশ হয়েছে। জেলেরা তাঁকে বলেছেন, বাংলা ছেড়ে তাঁরা অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে চলে গিয়েছেন। তিনি কৃষকদের পরিস্থিতিও প্রত্যক্ষ করেন। ২৯টি রাজ্যের মধ্যে বাংলা কৃষির দিক থেকে ২৪তম স্থানে রয়েছে। কিষাণ সম্মান নিধি এখানে লাগু নেই। ২৬ লক্ষ কৃষক সেল্ফ রেজিস্ট্রার করেছেন। অথচ মমতা তাঁদের অনুমোদন দেননি। বিজেপি কৃষক সুরক্ষা অভিযান শুরু করেছে বলে এদিন জানান নাড্ডা। বলেন, গ্রাম সভা থেকে লোক কৃষকদের কাছে যাবে। তাদের সঙ্গে কথা বলবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিষাণ সম্মান নিধি পাবেন কৃষকরা।

নাড্ডা এদিন আয়ুষ্মান ভারত প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। বলেন ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার লোককের আয়ুষ্মান ভারতের আওয়ায় আসতে দেননি মমতা। এই যোজনায় প্রতি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পাবে। এর ফলে কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের ক্যান্সার হাসপাতাল যেখানে প্রয়োজন চিকিৎসা করানো সম্ভব। ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা সোজা হাসপাতালে পৌঁছে যাবে। কিন্তু মমতার কারণেই বাংলা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এছাড়া তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক দিক থেকেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। অথচ মমতা বলছেন মানুষের আয় বেড়েছে। দুর্নীতি ও কাটমানি বাংলায় বেড়েছে। তৃণমূর আমলে বাংলায় ঋণে বোঝা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাড্ডা। বলেন, আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এই নিয়ে জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিজেপি এর বিরোধিতা করছে। সব দিক থেকে বিপদ রয়েছে। কিন্তু বিজেপি লড়বে। জনতার উৎসাহ ও ভালবাসার কারণে নির্বাচনে ২০০-রও বেশি আসনে জিতবে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + seventeen =