সভা থেকে ‘রাজকুমার’কে হুঁশিয়ারি, কিন্তু পরিচয় দিতে অপ্রস্তুত নাড্ডা!

সভা থেকে ‘রাজকুমার’কে হুঁশিয়ারি, কিন্তু পরিচয় দিতে অপ্রস্তুত নাড্ডা!

bf63baece988582c057ef9996a4a16e4

 বর্ধমান: ফের রাজ্য সফরে শাসক তৃণমূলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা। শনিবার রাজ্যের কৃষিকেন্দ্র বর্ধমানের কাটোয়ার সভা থেকে রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে রীতিমতো তুলধনা করেন নাড্ডা। এদিন কটাক্ষ করে বাংলার রাজনীতিতে নতুন শব্দের উত্থান করেন নাড্ডা৷ বলেন, ‘নতুন রাজকুমারের রাজত্ব বেশিদিন চলবে না৷’

এদিন সভামঞ্চ থেকে জয়প্রকাশ নাড্ডা বলেন,  রাজ্যে দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নতুন রাজকুমার। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই রাজ্যে বিভিন্ন খাতে রয়েছে দুর্নীতি আর কাটমানি নেওয়ার প্রথা। রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে এদিন নাড্ডা বলেন, ‘রাজ্যে মৃতদেহ সৎকার করতে গেলেও লাগে কাটমানি, এর থেকে লজ্জার আর কিই বা হতে পারে!’ এই সবকিছুর মূলে তিনি দায়ী করেন ‘নতুন রাজকুমার’কে৷ জানান, ‘নতুন রাজকুমারে’র রাজত্ব আর বেশি দিন চলবে না৷ তবে, এদিন তিনি ‘নতুন রাজকুমারে’র নাম নেননি৷ 

কাটোয়ার সভার পর একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কে এই রাজকুমার’? প্রশ্ন করা হলে কিছুটা অপ্রস্তুত দেখা দেখা যায় নাড্ডাকে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন৷ রাজকুমার নাম বললে তার নিচে কি নাম উঠে আসে। তা সত্ত্বেও আমায় দিয়ে নাম বলানো কেন?’ নাম উচ্চারণে কেন এমন হচকচিয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? কেন তিনি এই নাম বললেন না জনসমক্ষে?

সভামঞ্চ থেকে একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও সরাসরি কারো নাম না বলার রীতি রয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। কিছুতেই এই গণ্ডিটা যেন পার করতে চাননা কেউ। এর আগেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে দফায় দফায় সভা করে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে গেছেন। কিন্তু তারা কেউই কারো নাম ধরে সরাসরি আক্রমণ করেননি কাউকে। এ কি তবে সেই ‘ট্র্যাডিশন’-এর অংশ? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *