বিধি ভেঙে বদলি, ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা

কলকাতা: ফের স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বদলি নিয়ে উঠল বিতর্ক। বিধি বহির্ভূতভাবে বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অনেকে নিয়ম মেনে বদলির সুবিধা পাচ্ছেন না বলেও দাবি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফাঁকতালে এই সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁদের সার্ভিস বুকের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ac2a8c90d3246190bfcc6276a56e0791

কলকাতা: ফের স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বদলি নিয়ে উঠল বিতর্ক। বিধি বহির্ভূতভাবে বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অনেকে নিয়ম মেনে বদলির সুবিধা পাচ্ছেন না বলেও দাবি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফাঁকতালে এই সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁদের সার্ভিস বুকের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাম আমলে শেষের দিকে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে বদলির আইন কার্যকরী হয়। প্রথমদিকে নিয়ম মেনে বদলি হলেও ২০১৫ সালের মার্চে সাধারণ বদলির বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনী আনা হয়। সেখানে সাধারণ বদলি, বিশেষ কারণে বদলি এবং পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তারপর থেকে সংশ্লিষ্ট আইনে আর বদল আসেনি। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বদলির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কোনও ক্ষেত্রেই ২৫ কিলোমিটারের কম দূরত্বে বদলির আবেদন করা যাবে না। এছাড়া চাকরি জীবনে একবার আপোস ও একবার সাধারণ বদলির আবেদন করা যাবে। চাকরি পাওয়ার ৫ বছরের মধ্যে কোনওভাবেই বদলির আবেদন করা যাবে না। অথচ এই সমস্ত নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি নদীয়া নবদ্বীপের দুটি স্কুলের গ্রন্থাগারিককে বদলির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ২০ কিলোমিটার দূরে দুটি স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এর জুলাইয়ে নদীয়ার হাঁসখালি স্কুলে নিয়োগ পত্র পাওয়া প্রধান শিক্ষক বদলি হন চাকদহ স্কুলে। শুধু তাই নয়। অফলাইনে সাধারণ ও আপস দু’রকম বদলে সুযোগ নিয়েছেন এমন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনলাইনে ফের সেই ছাড়পত্র পেয়েছেন। গোটা ঘটনায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের মাথায় হাত। তাদের অবিলম্বে এই নীতির সংশোধন করতে হবে বলে দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেস এর সম্পাদক সুদীপ্ত দাস বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তর গত ১৬ অক্টোবর একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল বদলির আবেদন শিক্ষা কমিশনের কাছে করতে হবে। পদ্ধতি ঠিক করে দেবে সরকার। এরপরই আইওএমএস পোর্টালে বিশেষ বা সাধারণ, কোনও লিঙ্কই মিলছে না। আবেদনপত্র নিয়েই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগ পত্র তৈরি করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার জানিয়েছেন, কিছু কিছু লোক সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *