বন্ধ হচ্ছে সরকারি পোর্টাল, ট্যাবের টাকা বণ্টনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নথি সংগ্রহ

ট্যাবের জন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। আর সেই কারণে নথিপত্র সংগ্রহের তৎপরতা শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর বাড়ি বাড়ি ঘুরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেছেন নদীয়ার চাকদহ বাবুজি বিদ্যামন্দিরের টিচার ইনচার্জ জয়ন্ত ঘোষ।

7f02f0beabf86bee31e9a0271b814e0a

কলকাতা: ট্যাবের জন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। আর সেই কারণে নথিপত্র সংগ্রহের তৎপরতা শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর বাড়ি বাড়ি ঘুরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেছেন নদীয়ার চাকদহ বাবুজি বিদ্যামন্দিরের টিচার ইনচার্জ জয়ন্ত ঘোষ।

তাঁর স্কুলের এক ছাত্র প্রবীর ঘরামির বাড়ি মনসাপোতায়। সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এবার সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার অ্যাকাউন্টে সেই কারণেই ট্যাব কেনার টাকা ঢুকবে। রবিবার তার কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেন জয়ন্তবাবু। শুধু তাই নয়, একতারপুরে আমিন দাফাদার বাড়িও গিয়েছিলেন তিনি। তারপর যান দু’নম্বর দুর্গাপুর এলাকায় এক ছাত্র সৌরভ ঘোষের বাড়ি। নথি সংগ্রহ করতে এদিন একাধিক ছাত্রীর বাড়িতে যেতে হয় জয়ন্তবাবুকে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সুবিধা পান তার জন্য চেষ্টার কসুর করেননি তিনি।

প্রধান শিক্ষকরা ও শিক্ষিকাদের তরফে জানানো হয়েছে শনিবারের একটি নির্দেশের পর এই এই উদ্যোগ। স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার এন্ড হেডমিস্ট্রেস সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেছেন, শনিবার দিন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানানো হয়েছে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে ট্যাবের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ একাধিক নথি জমা দিতে হবে। এটি রবিবার শেষ হবে। এছাড়া যে সমস্ত নথি জমা পড়েছে তাতেও কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল। শিক্ষা দপ্তরের তরফে সেকথা জানানো হয়েছে। সেগুলো রবিবারের মধ্যে ঠিক করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিতে। কাজেই প্রতিটি তথ্য আপডেট করে তা পোর্টালে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর যেহেতু স্কুল এখনো সম্পূর্ণ খোলা নেই তাই স্কুল প্রধানদের একাধিক বিষয়টি সামলাতে হচ্ছে। ফলে ভুলের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস ফোরামের পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র জানিয়েছেন কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটি ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংক একত্রিত হয়ে যাওয়ায় আইএফএসসি কোড বদলে গিয়েছে। কোনও কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর আবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। তারপর পড়ুয়ারা ছিল এখন স্কুলে আসছে না। ফলে নথি সংগ্রহ করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। এই সমস্ত বিবেচনা করে জমা দেওয়ার তারিখ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন অগ্রাহ্য হয়নি। এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন তালিকা পোর্টালের নিবন্ধ করার ব্যাপারে বহু ছাত্র-ছাত্রী টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *