জাতীয় সড়ক সংস্কারে জমি জট কাটিয়ে নতুন পথ খুলল হাইকোর্টের রায়

জাতীয় সড়ক সংস্কারে জমি জট কাটিয়ে নতুন পথ খুলল হাইকোর্টের রায়

 

কলকাতা: জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে জমি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পুনরায় বিচারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশ দিতে গিয়ে নদীয়ার জেলা শাসকের ২০১৫ সালে করা আর্বিট্রেশন বা সালিশি বাতিল করে দিল হাইকোর্ট৷ যার ফলে জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য গোটা রাজ্যে জমিদাতাদের নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার রাস্তা খুলে গেল বলেই মনে করছেন আইনজীবী মহলের একাংশ৷

হাইকোর্টের এই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সালিশিতে ত্রুটির অভিযোগ নিয়ে নতুন করে মামলা দায়েরের পথে হাঁটছেন জমি দিয়ে সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ না পাওয়া জমিদাতারা। এদিন বিচারপতি আশীষ চক্রবর্তী নদীয়ার শান্তিপুরে বিহারিয়া মৌজায়ক জেলাশাসকের সালিশির পদ্ধতির দুটি ত্রুটি দেখিয়ে গোটা প্রক্রিয়ায় বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, আদালতের রায় দুঃস্থ জমিদাতাদের আর্থিক সহায়তার একটা বড় সুযোগ এনে দিল। সোমবার আদালত পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে জেলাশাসকের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ায়, নতুন জমিদাতারা নয়া আইনে অনেক বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হলেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বারাসত ডাকবাংলো মোড় থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী জমি দিলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছিল জাতীয় সড়ক আইন ১৯৫৬ সালের আইন অনুযায়ী। এরই মধ্যে ২০১৩ সালের কেন্দ্রীয় সরকার সরকার জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন আইন আনে। ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হয় গোটা দেশে। সেই আইন অনুযায়ী জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণে শহর এলাকার ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের চার গুণ মূল্য এবং গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ওই চার গুণের আরো দুই গুণ যোগ হবে। এছাড়াও নতুন আইন অনুসারে জমিদাররা পাবেন অনেক সুবিধাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 5 =