নিউ ইয়র্ক: করোনায় নাস্তানাবুদ গোটা বিশ্ব৷ ভারতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কারে দিনরাত এক করেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা৷ এরই মধ্যে দেখা দিল আশার আলো৷ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর মাস থেকেই মিলতে পারে করোনা প্রতিষেধক৷
বর্তমানে সংক্রমণের যে হার, তাতে আগামী বছর এই সময়ের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ মিলিয়ন পেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা৷ এই মুহূর্তে একমাত্র প্রতিষেধক আবিষ্কারের মধ্যে দিয়েই সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন পেতে পারে বিশ্বের মানুষ৷ কিন্তু করোনা প্রতিষেধক থেকে এখনও কতটা দূরে আমরা? নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর রিপোর্ট বলছে সারা বিশ্বে ১৪০টিরও বেশি প্রতিষেধকের মধ্যে ১২ টি প্রতিষেধক বিভিন্নস্তরে মানবদেহে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে৷ এই প্রতিষেধকগুলির সাফল্যের আশায় গোটা বিশ্ব৷
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়- ফেজ২, ফেজ ৩- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা AstraZeneca মিলিতভাবে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষার পর সম্ভবত সবুজ সংকেত পাবে এই প্রতিষেধক৷
মডার্না ফেজ ২- গত মে মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে আট জনের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল মডার্নার mRNA ভ্যাকসিন৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে৷ মার্কিন সরকার মোট পাঁচটি ভ্যাকসিন প্রকল্পে পয়সা ঢালছে৷ আপাতত আগামী জুলাই মাসে মডার্নার তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দিকে তাকিয়ে আছে মার্কিন সংস্থা৷ আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালের আগেই বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এই ভ্যাকসিন৷
BioNTech ফেজ ১ এবং ফেজ ২- করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে দ্রুত কাজ চলছে BioNTech এর৷ মার্কিন সংস্থা Pfizer এবং চিনা ওষুধ সংস্থা Fosun Pharma-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে mRNA প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে জার্মান সংস্থা BioNTech৷ মে মাসে প্রথম মানব দেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে তাঁরা৷
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন- ফেজ ১, ফেজ ২- ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা একটি RNA ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন৷ যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে ভাইরাল প্রোটিনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে তোলে৷ ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে তাদের ফেজ ১ এবং ফেজ ২ ট্রায়াল৷
ইনোভিয়ো ফেজ ১- গত মে মাসে মার্কিন সংস্থা ইনোভিয়ো একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে৷ যেখানে দেখা গিয়েছে ডিএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন ইঁদুরের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে৷ বর্তমানে আমেরিকায় এই ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে৷
নোভাভ্যাক্স- ফেজ ১, ফেজ ২- গত মে মাসে আমেরিকার নোভাভ্যাক্স প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে৷ যা তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাস প্রোটিনের টুকরো বহনকারী অণুবীক্ষনিক কণা দিয়ে৷