‘রত্নার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে, ও মনোরোগী’! বৈশাখীকে আক্রমণ করায় ‘প্রতিবাদ’ শোভনের

‘রত্নার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে, ও মনোরোগী’! বৈশাখীকে আক্রমণ করায় ‘প্রতিবাদ’ শোভনের

 

কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছিলেন, কোন আত্মত্যাগ নয়, শুধুমাত্র বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাওয়ার জন্যই শোভন চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এবার এই মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে তাঁকে মনোরোগী বলে কটাক্ষ করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়! বললেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে।

এদিন ‘এবিপি আনন্দ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তিনি পদত্যাগ করেননি, একমাত্র নীতিগত কারণেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছিল সেই কারণেই তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে শোভন স্পষ্ট বলেন, তিনি তাকে লুকিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেন, মাথার চিকিৎসা করাতে। তিনি একজন মনোরোগী, তাঁর কথা পাগলের প্রলাপ। এই ক্ষেত্রে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে শোভন বলেন, রত্নার প্রশ্নের উত্তর তার কোন মন্ডল সভাপতি বা বেহালার কেউ দিয়ে দেবে। ওরাই বলে দেবে ওর জীবনযাত্রা কি। তাঁর কথার কোন উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত এদিন শোভন-বৈশাখী প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে কোনও একটা বেছে নিতে বলেছিলেন। হয় কাজ নয় প্রেম। শোভন চট্টোপাধ্যায় কাজ না বেছে প্রেমকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর হয়তো কাজ করতে ভালো লাগেনি। শুধুমাত্র বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাওয়ার জন্য চটির মত মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শোভন, এতে তাঁর আত্মত্যাগের কোন প্রশ্ন নেই।‌ এমনই মন্তব্য করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন জায়া আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে কোনো অসৎ কাজ করতে বলেছেন বলে শোভন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন এমনটা নয়। এমন যদি হত তাহলে আত্মত্যাগের প্রশ্ন আসে। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিনরাত থাকবেন বলে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, দুজনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন বলে ছেড়েছেন।  বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন রত্না। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বৈশাখীর নাম নিতে তার ঘেন্না করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *