কলকাতা: প্রত্যেকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর চক্রান্ত সামনে আসে কিন্তু ঢাকা পড়ে যায়। এবার যেন সেই রকম কিছু না ঘটে! বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দিলেন, যে সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের, তারা যেন যথাযথভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পেছনে দিলীপ ঘোষ চক্রান্ত দেখছেন, তার এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন অনেকেই।
গতকাল সন্ধে বেলা বিধ্বংসী আগুন লেগে যায় বাগবাজারের বস্তিতে। প্রায় ৭০০ ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ১০০ টিরও বেশি ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়। এদিন এলাকা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দেন, যার যেখানে বাড়ি ছিল সেই বাড়ি রাজ্য সরকার তৈরি করে দেবে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাগবাজার ওমেন্স কলেজে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বস্তিতে আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হয়নি। তবে তার আগেই চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। এই ধরনের একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বিস্তর আলোচনার সৃষ্টি করেছে সর্বত্র। উল্লেখ্য, কিভাবে বাগবাজারের বস্তিতে এত বিধ্বংসী আগুন লাগল সেই বিষয়ে তদন্ত করতে আজই ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম।
গতকাল আগুন লাগার পর ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় স্বাভাবিকভাবেই। এখনো ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ের একাংশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে শশী পাঁজা এবং অতীন ঘোষ সহ আরো অনেকে। তাদেরকেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন সকল ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বস্তিবাসীদের আশ্বাস দিয়ে জানিয়ে দেন, আপাতত ক্ষতিগ্রস্তরা বাগবাজার উইমেন্স কলেজে থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত তাদের জন্য নতুন ঘর তৈরী না হচ্ছে ততদিন সেখানেই থাকবেন তারা। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু দেওয়া হবে এবং শিশুদের জন্য দুধ এবং বিস্কুটের বন্দোবস্ত করার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ঠান্ডার কারণে প্রত্যেকের জন্য গরম পোশাক এবং কম্বলের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।