কলকাতা: ডিসেম্বর মাসেই কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই। এবার তারা তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও খোঁজ মেলেনি লালার, তাই তাকে ফেরার ঘোষণা করে দিল আদালত। জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যে হাজিরা না দিলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে তার। এর পাশাপাশি বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধেও নতুন করে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সিবিআই আশঙ্কা করছে, বিনয় এরপর বিকাশ মিশ্রও পালাতে পারে। সেই কারণে তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। বিকাশে হাজিরা জন্য গতকাল নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই, আগামী ১৫-১৬ তারিখ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, এর আগে অসুস্থতার কথা বলে সিবিআই দফতরে হাজিরা এগিয়ে গিয়েছিল অনুপ মাঝি ওরফে লালা। অন্যদিকে কলকাতা ছাড়াও পুরুলিয়া গিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। সিবিআই অনুমান করছে, সে হয়তো মুম্বই পালিয়ে যেতে পারে।
আর কয়েক সপ্তাহ পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত হিসেবে কাকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই লালাকে এখনো নাগালে পায়নি তারা। এদিকে কয়লা পাচারকারীদের অন্য অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে ৪ জানুয়ারি সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সে গরহাজির ছিল। সেই কারণে তাকে আবার ১২ জানুয়ারি হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার গরহাজির থাকার কারণে তার বিরুদ্ধেও নোটিশ জারি করেছে সিবিআই। এর আগে কয়লা ব্যবসায়ী লালার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আসানসোলে সিবিআইয়ের স্পেশাল কোর্ট। লালার সঙ্গী কয়লা ব্যবসায়ী রবীশ বার্মার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি হয়। জামিন অজগ্য পরোয়ানা জারি করে সিবিআই আদালত।