অনেকে ভাবে আমার অহংকার হয়ে গেছে, কিন্তু তা নয়: মুখ্যমন্ত্রী

জানালেন, অনেকে হয়তো মনে করেন তাঁর অহংকার হয়েছে, কিন্তু আদতে তা নয়।

কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এখন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে জনসভা, নেতা থেকে মন্ত্রী, সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেই এখন বাধ্য মাস্ক পরতে। আর এই মাস্ক পরার জন্য অনেক সময় চেনা মানুষকেও চেনা যায় না। সমস্যায় পড়তে হয় অনেকেই। এই সমস্যায় পড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনকি তিনি এও জানালেন, অনেকে হয়তো মনে করেন তাঁর অহংকার হয়েছে, কিন্তু আদতে তা নয়।

প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৬ তম জন্ম দিবস উদযাপন এবং রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ কখনোই ভাবতে পারেনি যে এক সময় সবাইকে মাস্ক পরে ঘুরতে হবে। আর এই মাস্ক পরার জন্য অনেক সময় চেনা মানুষকেও চিনতে পারা যায় না। পরিচিত মানুষ সামনে থাকলেও তাকে দেখে বোঝা যায় না। মমতার কথায়, এমন অনেক সময় হয়েছে পরিচিত মানুষকে দেখে তিনি চিনতে পারেননি, কোনও অনুষ্ঠানে সে উপস্থিত থাকলেও তার নাম নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই কারণে অনেকে হয়তো ভাবেন তার অহংকার হয়েছে, কিন্তু আসলে এমনটা নয় বলেই এদিন পরিষ্কার করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস্ক পরে যে মাঝে মাঝে সবাইকে একই রকম লাগে সেই কথা এ দিন বলেন তিনি।

পুরনো স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে এই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, যাদবপুরে প্রথমবার নির্বাচনে জেতার পর তিনি মাঝে মাঝে পঞ্জাব যেতেন। সেখানে গিয়ে এসব পাগড়ি পড়া লোকদের একই রকম লাগতো তাঁর। তবে ধীরে ধীরে সেই ব্যাপারটা কেটে গিয়েছে। এখন ভালো করে তাকিয়ে দেখলেই তিনি পরিচিত মানুষদের চিনতে পারেন। তবে মাস্ক পরে থাকলে প্রথমে সমস্যা হয় বলে স্পষ্ট করেন তিনি। এছাড়াও এদিন প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি নিজের ছোটবেলার কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন। কিভাবে তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতেন, বাদাম এবং চানাচুর খেয়ে সিনেমা হলেই ঘুমিয়ে পড়তেন, সেই সমস্ত স্মৃতিচারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *