কলকাতা: গতকাল ঠিক এই সময়েই বাগবাজারের বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। ৭০০ ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েকশো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে এখনো ঢের দেরী এর মাঝেই ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। এবার নিউটাউনের সুলুংগিরির একাধিক ঝুপড়িতে আগুন।
সূত্রের খবর, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের গাড়ি এসে পৌঁছতে পারছিল না ঘটনাস্থলে। সেই কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন শুরুতে। স্বস্তির খবর, এখন এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধান নগর পুরো নিগমের প্রশাসক। ঘটনাস্থলে এখন দমকল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।
গতকাল সন্ধে বেলা বিধ্বংসী আগুন লেগে যায় বাগবাজারের বস্তিতে। প্রায় ৭০০ ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ১০০ টিরও বেশি ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়। এদিন এলাকা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দেন, যার যেখানে বাড়ি ছিল সেই বাড়ি রাজ্য সরকার তৈরি করে দেবে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাগবাজার ওমেন্স কলেজে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বস্তিতে আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হয়নি। এদিকে, চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। এই ধরনের একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, প্রত্যেকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর চক্রান্ত সামনে আসে কিন্তু ঢাকা পড়ে যায়। এবার যেন সেই রকম কিছু না ঘটে! গতকাল আগুন লাগার পর ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় স্বাভাবিকভাবেই। এখনো ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ের একাংশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে শশী পাঁজা এবং অতীন ঘোষ সহ আরো অনেকে। তাদেরকেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন সকল ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু দেওয়া হবে এবং শিশুদের জন্য দুধ এবং বিস্কুটের বন্দোবস্ত করার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ঠান্ডার কারণে প্রত্যেকের জন্য গরম পোশাক এবং কম্বলের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।