কোনওরকম চিন্তা আছে বলে খবর পাইনি! শতাব্দীর পোস্ট প্রসঙ্গে সৌগত

কোনওরকম চিন্তা আছে বলে খবর পাইনি! শতাব্দীর পোস্ট প্রসঙ্গে সৌগত

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। ‘শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাব’-এর পোস্ট ঘিরে বিস্তর বিতর্ক। আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার দুপুর দুটোয় ‘সিদ্ধান্ত’ জানানোর কথা লেখা রয়েছে সেই পোষ্টে। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য সাংসদ সৌগত রায়। তিনি দাবি করলেন, শতাব্দীর অন্য কোনওরকম চিন্তা আছে বলে খবর পাননি তিনি। 

এদিন সৌগত রায় বলেন, তিনি এই পোস্ট বা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে শতাব্দীর অন্য কোনওরকম চিন্তা আছে বলে খবর পাননি তিনি। একইসঙ্গে এই দাবি করেন, শতাব্দী খুব ভাল মেয়ে। ও সোজাসুজি কথা বলে। ওকে নিশ্চয়ই কর্মসূচিতে ডাকা উচিত। ওকে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না, এ কথা ঠিক না। এই মন্তব্য কতটা তাৎপর্য পূর্ণ তা খোদ সাংসদ শতাব্দী রায়ের প্রতিক্রিয়া না জানা পর্যন্ত বোঝা মুশকিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি শতাব্দী রায়ের। সম্প্রতি দলবদল না করলেও হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সদ্য মন্ত্রী পদ ত্যাগ করা লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। সব মিলিয়ে খুব একটা ভালো পরিস্থিতিতে নেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে এই পোস্ট যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়বে। 

উল্লেখ্য, ফেসবুকে ‘শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাব’ পেজের তরফে পোস্ট করা হয়েছে, ” ২০২১ খুব ভালো কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন। এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ২০০৯ সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব৷” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *