প্রসবের পর তরুণীর মলদ্বারে সেলাই! গাফিলতির চরম নিদর্শন নদীয়ায়

প্রসবের পর তরুণীর মলদ্বারে সেলাই! গাফিলতির চরম নিদর্শন নদীয়ায়

কৃষ্ণনগর: দেশ বিদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্রমাগত উন্নতি সাধারণ মানুষের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। চিকিৎসকদের উপরেই নির্ভর করে থাকে রোগীর জীবন মরণ। মুমূর্ষু রোগীর কাছে চিকিৎসক তাই ঈশ্বরের সমান। কিন্তু সেই ‘ঈশ্বর’ যদি তাঁর কর্তব্যে গফিলতি করেন, নিতান্ত অসহায়তা ছাড়া আর কিছুই থাকে না সাধারণ মানুষের হাতে। এদিন নদীয়ার এক ঘটনায় আরো একবার চিকিৎসা ব্যবস্থায় গাফিলতির চরম নিদর্শন সামনে এল।

নদীয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এক তরুণী। তিনি বুধবার এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তারপরেই চিকিৎসকদের গাফিলতির ছবিটা সামনে আসে। অভিযোগ, প্রসবের পর তরুণীর মলদ্বারও সেলাই করে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফ থেকে। স্বভাবতই যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন সদ্য প্রসূতি। ঘটনার কথা জানতে পেরে অবশ্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করে সেলাই কেটে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় ওই তরুণীকে। কিন্তু হাসপাতালের গাফিলতির এই চরম নিদর্শন সৃষ্টি করেছে বিতর্কের। সাংবাদিকদের সামনে ওই তরুণীর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের দাবি, “আমরা সেলাই করি না। সিস্টার বা নার্সরাই জানেন।” ঘটনার কথা জানাজানি হতে নিন্দার ঝড় ওঠে রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে।

জানা গেছে, ওই তরুণী নদিয়ার ভীমপুরের শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যথাসময়ে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ সুস্থ থাকার পরেই শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। পরিবারের লোকজনের কাছে তরুণী অভিযোগ জানান, তাঁর মলদ্বার সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কথা শুনে হতবাক হয়ে যান অন্যান্য চিকিৎসকরা। তড়িঘড়ি তাঁর মলদ্বারের সেলাই কাটার ব্যবস্থা করা হয়। কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে যে চিকিৎসকের অধীনে কর্মরতা ছিলেন ওই তরুণী তাঁর নাম ডাঃ এস. গুপ্ত। ঘটনার পর থেকেই তাঁর দেখা মেলেনি। পরে সংবাদমাধ্যমে জানান, “আমি পুরো ব্যাপারটা ভালো করে জানি না। তবে আমরা সেলাই করি না। সিস্টার ও নার্সরা বিষয়টা দেখেন।” ঘটনার পর এখন ওই তরুণী এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *