কলকাতা: একদিকে কংগ্রেসের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ, অন্যদিকে বিদ্যুৎতের মাশুল প্রত্যাহারের দাবিতে রাজপথে বামেরা। সবমিলিয়ে উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতার রাজপথে। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অন্যদিকে নিজেদের দাবির প্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বামেরা। দুই জায়গাতেই পুলিশের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় এবং পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কংগ্রেস সমর্থকদের অভিযোগ, ধর্মতলার মোড়ে তাদের সমর্থকদের একটি ম্যাটাডোর আসার পর পুলিশ জোর করে সেই ম্যাটাডোরের চাবি ছিনিয়ে নেয়। পর মুহূর্ত থেকে সেখানেই ম্যাটাডোর দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস নেতা এবং কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের লাগানো ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করে তারা। আজকের কংগ্রেসের এই মিছিল শুরু হয়েছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে। প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে ধর্ম তলায় আসার পর ছন্দ কাটে।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহারের দাবিতে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে বামেদের বিক্ষোভের সময় একই রকমের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের বলে অভিযোগ। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয় কর্মী-সমর্থকদের। সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ অভিযোগ জানান, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তার জন্য বেশ কয়েকজন সমর্থকের গুরুতর আঘাত লেগেছে। পুরুষরা মহিলাদের ওপর আক্রমণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেছেন মহিলারা থাকলেও বিক্ষোভ স্থলে কোন মহিলা পুলিশ দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে তাদের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, অমানবিকভাবে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কারোর মাথায়, কারোর চোখে লাঠির বাড়ি মারা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ পুলিশের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, আর দুই মাস তাদের মাইনে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তারপর সিপিএমের সরকার থেকে মাইনে নিতে হবে তাদের।