কলকাতা: বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার একে অপরকে বহুবার আক্রমণ করেছে। কে বেকারত্ব ইস্যু সবচেয়ে বেশি ভালোভাবে সামলেছে তাই নিয়ে চর্চা চলছে প্রতিদিন। তবে আদতে সাধারণ মানুষ কতটা লাভবান হয়েছেন, তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল। প্রশ্ন তুলে দিলেন রফিকুল হাসান। বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এবার সরাসরি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কিডনি বিক্রির আবেদন করলেন তিনি। এই নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন রফিকুল।
ন্যায্যমূল্যে কিডনি বিক্রি করিয়ে দেওয়ার আবেদন করে ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বেকারত্বের জ্বালা আর নিতে পারছি না। আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করতে চাই। আমার কিডনিতে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করলে কৃতজ্ঞ থাকব”। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে রফিকুল জানিয়েছেন, তিনি একা নন, তার এলাকায় আরও অনেক যুবক রয়েছে যারা শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে প্রচণ্ড হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। একদিকে সংসারের চাপ অন্যদিকে বেকারত্বের জ্বালা, সব মিলিয়ে তাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে বলে ব্যক্ত করেছেন রফিকুল। এই জন্যই কিডনি বিক্রি করে কিছু টাকা উপার্জন করে নিজেদের সংসার টানতে চান তিনি।
রফিকুলের একটা স্পষ্ট দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মানের চাকরি পাওয়া। তার জন্য ইতিমধ্যেই টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে কোন লাভ হয়নি তার। এছাড়াও একাধিকবার সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন রফিকুল। তাতেও কিছু হয়নি। বেশকিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে রফিকুল হাসানের মত এমন বহু যুবক এবং যুবতী রয়েছেন যারা নিজেদের শিক্ষাগত অনুযায়ী চাকরি তো দূর, ন্যূনতম যোগ্যতার চাকরিটুকুও পাননি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বারবার আক্রমণ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যের বেকারত্বের হার কেন্দ্রীয় বেকারত্বের হার থেকে অনেক কম বলে দাবি করে এসেছে শাসক দল। তবে বেকারত্ব ইস্যুতে এইরকম একটা ঘটনা এখন সামনে আসায় অবশ্যই অস্বস্তি বাড়বে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।