কর্মসূচির অনেক খবর মেলে না! এবারে ‘সুর’ বদলাচ্ছে প্রসূনের

কর্মসূচির অনেক খবর মেলে না! এবারে ‘সুর’ বদলাচ্ছে প্রসূনের

কলকাতা: গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়ে রীতিমতো টানাপোড়েন চলেছে সারাদিন ধরে। জানা গিয়েছিল তিনি দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছিল তাঁর। তবে অবশেষে ‘কাম ব্যাক’ করেন তৃণমূলের এই অভিনেত্রী-সাংসদ। এসবের মাঝেই এবার কিছুটা বেসুর হলেন দলের আরেক সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দলের অনেক কর্মসূচির ব্যাপারে তাঁকে খবর দেওয়া হয় না।

হাওড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। বৈশালী ডালমিয়া এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা এখনো বর্তমান। অন্যদিকে সদ্য মন্ত্রিত্ব এবং জেলা সভাপতি পদ ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এবার দলের অন্য এক সংসদ তথা হাওড়ার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, তিনিও দলের অনেক কর্মসূচির ব্যাপারে জানতে পারেন না, তাকে দলের তরফ থেকে জানানো হয় না! এক্ষেত্রে প্রসূন বলেছেন, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা যদি কেউ ফোনে বা মেসেজ করে জানাতো তাহলেও তিনি গর্বিত হতেন। সংসদ প্রসন বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে ফের একবার অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই প্রেক্ষিতে হাওড়া সদরের জেলা সভাপতি অরূপ রায় জানাচ্ছেন, সমস্যা থাকলে সেটা দলকে জানানো উচিত। এভাবে সংবাদমাধ্যমে না বলাই ভালো। তবে যতই ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করা হোক, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে এসে দলের অন্দরে বেশ বিক্ষোভ রয়েছে তা ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, এমনটাই দাবি করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যদিও তাঁর দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে প্রসূন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘যতদিন রাজনীতি করব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই থাকব। সৌমিত্র সম্ভবত আমাকে নিয়ে মশকরা করছে।’’

এদিকে গতকাল দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মানভঞ্জন করা সম্ভব হয় শতাব্দী রায়ের। শুক্রবার সন্ধ্যায় শতাব্দীকে নিয়ে অভিষেকের দফতরে হাজির হন কুণাল ঘোষ৷ ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক৷ দীর্ঘ বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শতাব্দী৷ শতাব্দী রায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমার যে কথাগুলি বলার ছিল, আমার যে অভিমান, অভিযোগ ছিল, সেই কথাগুলি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি৷ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে৷ আমার যে অভিযোগ ছিল, যে সমস্যা হচ্ছে, সেটি আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি৷ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি৷ সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আশ্বস্ত করেছেন৷ আমি বিশ্বাস করছি, সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 2 =