টিকা নিয়ে ১৪ জনের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাংলায়, দিল্লিতে ৫১

টিকা নিয়ে ১৪ জনের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাংলায়, দিল্লিতে ৫১

 

কলকাতা: করোনার ভ্রুকুটি কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তি নিয়ে এসেছে ভ্যাকসিন। পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ডের বন্টন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে দেশ জুড়ে। ১৬ জানুয়ারি ছিল টিকাকরণের প্রথম দিন। বাংলায় কেমন হল প্রথম দিনের টিকাকরণ?

দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজ্যের প্রথম দিনের করোনা ভাইরাসের টিকাকরণকে মোটের উপর মসৃণ বলা যায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কোউইন অ্যাপে মাঝে মধ্যে কিছু গন্ডগোল দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তা বাদ দিলে ভালোভাবেই মিটেছে টিকাকরণের প্রথম দিনের কর্মকাণ্ড। যদিও টিকা নেওয়ার পরে রাজ্যে অন্তত ১৪ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে, তবে তারা টিকার কারণেই অসুস্থ হয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। দিল্লিতে ৫১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর৷

করোনা টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে দেশ জুড়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে করোনা যোদ্ধাদের। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ তথা সাফাই কর্মচারীরাই পাচ্ছেন কোভিশিল্ড টিকা। সূত্রের খবর, শনিবার প্রথম দিনের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় প্রায় রাজ্যের ২০৭০০ জন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সকলেই প্রথম দিন টিকা নেন নি। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন টিকা নিয়েছেন ১৫৭০৭ জন। মোট ২০৭টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে প্রথম দিন। প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সকলে আসেননি। কোথাও কোথাও টিকা নিতে এসেছিলেন মাত্র ৭০ জন। যাঁরা আসেন নি তাঁদের না আসার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

জানা গেছে, কলকাতায় প্রায় ৯২% মানুষ প্রথম দিন করোনা টিকা নিয়েছেন। মোটের উপর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দিনের কাজ। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের মতো কিছু জায়গায় টিকাকরণ সহায়ক অ্যাপ কোউইনে কিছু বিভ্রাট দেখা দেয়। অ্যাপে তথ্যাবলী আপলোডের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা অতিরিক্ত সময় লেগে যায়। অ্যাপটি ধীর গতিতে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকদের কেউ কেউ। অ্যাপ সমস্যা মেটাতে তাই অগত্যা হাতে কলমেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী টিকা নেওয়ার পর ১৪ জনের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টিকা নেওয়ার পর কলকাতার ফুলবাগানের বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের এক নার্স সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বলে জানা গেছে। তাঁকে আপাতত ক্রিটিক্যাল ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + eighteen =