কলকাতা: বিএসএফের কাজ কি শুধু স্যানিটাইজার ব্যবহার করা? বিএসএফ প্রধানের কাছে রিপোর্ট চাইল ডিভিশন বেঞ্চ। বিরক্ত প্রধান বিচারপতির টি বি এন রাধাকৃষ্ণন।
নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গেছে কুড়ি বছর। আজও উদ্ধার হয়নি যুবক। বিএসএফের গাফিলতির জেরে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কোচবিহারের যুবককে। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৮ সালে। অভিযোগ বাংলাদেশের পুলিশ গুলি চালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোচবিহারের বাসিন্দা হাসান আলি আহত হন। মামলাকারী তার স্ত্রী নুরজাহান অভিযোগ করেন, আহত হাসানকে বাংলাদেশের পুলিশ নিয়ে চলে যায়। মামলা হয় হাইকোর্টে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট জানতে চায় হাসানের কি অবস্থা।
জানা যায়, বাংলাদেশ তাকে নিজেদের নাগরিক বলে জেলে আটকে রেখেছে। এরপর বিএসএফের পক্ষ থেকে আর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, বিএসেফের আলাদা শক্তি তাদের গোয়েন্দা সংস্থা। তারপরেও কিভাবে একজন নিখোঁজকে উদ্ধার করা গেল না? শুধুই কি স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই কাজ ফুরিয়ে যায়? ব্যাখ্যার জন্য বিএসফের কর্তাকে কি সশরীরে তলব করতে হবে? আগামী সোমবার বিএসএফকে জানাতে হবে নিখোঁজ ব্যক্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।