নন্দীগ্রাম: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এদিন নন্দীগ্রামে সভা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ইন্তেকালের মাঠে জনসভার শুরুতেই নিখোঁজ পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দিলেন তিনি। মঞ্চে নন্দীগ্রামে শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনি উপস্থিত ছিলেন জেলার সব বিধায়ক এবং নেতা-কর্মী বৃন্দ। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যারা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সরকারি অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ জন নিখোঁজের পরিবারকে দেওয়া হল ৪ লক্ষ টাকা করে। সরকারি অনুদান তুলে দেওয়ার পরেই সদস্যদের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর এটাই মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশ্য জনসভা। তবে এই সভায় উপস্থিত নেই অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য। সোমবার ৩ দিনে দুই জেলার সফরে পাড়ি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা থেকে সোজা গেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। সেখানেই দলনেত্রী তেখালিতে একটি প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো শেষবার নন্দীগ্রামে গিয়ে সভা করেছিলেন ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর। যদিও গত ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে সভা করার কথা থাকলেও আয়োজক অখিল গিরি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সভা স্থগিত হয়ে যায়।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ার হুটমুরা স্কুলের মাঠে আবার একটি জনসভায় অংশ নেবেন। সেখানে জেলা সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে পরদিন বুধবার বেলগুমা পুলিশ লাইনের হেলিপ্যাড থেকে আকাশপথে কলকাতা ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর এই সফরের জন্য দুই জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।আজ এই সভায় নেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, সভায় উপস্থিত থাকার জন্য কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি তাকে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের কথায়, “আমরা তো লস্ট কেস। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে আমার সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগও করেনি। তাই সভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”