কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এদিন নন্দীগ্রামের জনসভা করে বিরাট ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন, এই ঘোষণায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। মমতার এই ঘোষণার পরেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী হতে চলেছেন কিনা। এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে কোনো ইঙ্গিত না দিলেও দক্ষিণ কলকাতার জনসভা থেকে শুভেন্দু হুংকার দিলেন, হাফ লাখ ভোটে যদি তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে না পারেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! কার্যত শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুদ্ধ আজ থেকে শুরু হয়ে গেল বলা যায়।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার এক জনসভা থেকে শুভেন্দু মন্তব্য করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে কোন জনসভা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা যায়। কিন্তু বিজেপিতে শিষ্টাচার রয়েছে, সেখানে এইভাবে কোন জনসভা থেকে কোন কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা যায় না। তবে নন্দীগ্রামে তিনি প্রার্থী হন কি অন্য কেউ, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুভেন্দু বললেন, হাফ লাখ ভোটে যদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে না পারেন, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! একই সঙ্গে শুভেন্দুর কথায়, জনগণকে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এদের উৎখাত করারই ডাক দিলেন তিনি। তিনি আরো মন্তব্য করেন, দিলীপ ঘোষ এবং তিনি এখন হাত মিলিয়েছেন। বিজেপি তুলে ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে বিশ্বাসী নয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগরে তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলবে তারা।
এদিন প্রত্যক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরো বলেছেন, তাঁর বিরাট বুদ্ধি, তিনি ২৯৪টি আসনে একাই লড়েন, রাজ্যের সব জেলার একাই অবজারভার। এদিকে বিহার থেকে ঠিকেদারি কোম্পানিকে বাংলায় নিয়ে আসতে হয়। এখন তার বুদ্ধি ধার করতে হচ্ছে। এখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতে গেছে বলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।