‘বেইমান প্রধানমন্ত্রী মমতাকে হিংসা করে’! বেনজির আক্রমণ অনুব্রতর

‘বেইমান প্রধানমন্ত্রী মমতাকে হিংসা করে’! বেনজির আক্রমণ অনুব্রতর

1683a909f915dde0f2fc38111f7d2be4

 

কাটোয়া: বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ আরও চড়ছে দিন দিন। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। তার আগে মৌখিক যুদ্ধ শুরু হয়েই গেছে। কোন ইস্যুতেই কোন রাজনৈতিক দল একে অপরকে ছেড়ে কথা বলছে না। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আক্রমণ চলছে। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘বেইমান’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিংসে করেন।

আউশগ্রামের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন বেইমান, কারণ তিনি কথা দিয়ে কোনও কথাই রাখেননি। বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, এদিকে গুজরাটটাই সোনার হয়নি। অনুব্রতর কথায়, আগে গুজরাট সোনার বানিয়ে দেখাক বিজেপি, তারপর না হয় বাংলাকে সোনার বানাবে। এর পাশাপাশি বহিরাগত ইস্যু নিয়েও বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, বিজেপি বাংলার মানুষের জন্য কোনদিন কিছু করেনি, বাংলার জন্য কিছু করে না। তারা রবীন্দ্রনাথকেও বহিরাগত বলে। এখন ভোটের আগে নাটক করছে। এই প্রসঙ্গে অনুব্রতের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বাংলার মাথায় না থাকেন তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতা খুবই জরুরি।

এর আগেও একাধিক প্রকল্প এবং কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছেন, বাংলার একাধিক প্রকল্পে যে তারা ভালো ফল করেছেন সে ব্যাপারে স্বীকৃতি দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে একটাও প্রকল্প চলতে পারেনি। বেকারত্ব ইস্যুতেও কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় ভালো কাজ করেছে রাজ্য সরকার বলে দাবি করেন অনুব্রত। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় তিনি বলেছেন, বাংলার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয় কাঁদে, তিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তাদের সেবায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখেন। বাংলার মানুষের কষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ্য করতে পারেন না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *