জলপাইগুড়ি: পাথর বোঝাই লরি উল্টে পড়ল রাস্তায় চলতি আরও তিনটি গাড়ির উপর। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১৩ জনের। যার মধ্যে ৪ শিশু, ৭ মহিলা এবং ২ জন পুরুষ রয়েছে।জানা যায় আরো আহত ১১ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি ময়নাগুড়ি মধ্যবর্তী এশিয়ান হাইওয়েতে জলঢাকা ময়নাতলি এলাকায়।ঘ্টনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা।
পাথর বোঝাই লরির নীচে চাপা পড়ে থাকে দুটি যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি।স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় হতাহতদের।প্রায় দুই ঘন্টা লরির নীচে চাপা পড়ে থাকে যাত্রীবাহী দুটি ছোট গাড়ি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন ওয়াংদে ভুটিয়া। পৌছায় র্যাফ সহ পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার হয় হতাহতরা। জানা যায় লরিটি ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল এবং ওভারলোড বোল্ডার বোঝাই ছিল। আচমকা গাড়িটি পথচলতি তিনটি যাত্রীবাহী ছোটো গাড়ির উপর উল্টে যায়।স্থানীয়রা এগিয়ে আসে উদ্ধারের চেষ্টায়। এদিকে, আহত ৭ জন পুরুষ, ১ শিশু এবং ৩ জন মহিলাকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৩ ঘন্টা এশিয়ান হাইওয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে আসেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।এরপরেই ধূপগুড়ি হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডি আই জি।ঘটনা জানতে পেরে ধূপগুড়ি হাসপাতালে পৌছান ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়।
অন্যদিকে, ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং কলকাতায় থাকাকালীন বিষয়টি সর্ম্পকে খোজ নেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত এবং আহতদের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। জানা যায়, ঐ গাড়ি তিনটির মধ্যে একটি গাড়িতে বিয়ে বাড়ির বরযাত্রী ছিল। মৃত এবং আহতদের মধ্যে চারজন জলঢাকা এলাকার বাসিন্দা।বাকিরা রানীরহাট মোড় এলাকার বাসিন্দা বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে।