কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দফতরের এক বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়ম বহির্ভূত রাজ্য সরকার কলেজে প্রায় ১৫,০০০ SACT (State Aided College Teacher) নিয়োগ করেছে। এদের ৭০-৮৫%-এর কলেজে পড়ানোর ন্যূনতম যোগ্যতা NET, SET, Ph.D কিছুই নেই। এমনই অভিযোগ জানাচ্ছে ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অ্যান্ড রিসার্চ স্কলার অ্যাসসিয়েশন। এই বিষয় নিয়ে তারা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দারস্থ হয়েছে।
স্টুডেন্টস অ্যান্ড রিসার্চ স্কলার অ্যাসসিয়েশনের বক্তব্য, কলেজে এমন শিক্ষকও নেওয়া হচ্ছে যাদের অনেকের মাস্টার্স ডিগ্রিতে ৫০-৫৫% নম্বরও নেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০,০০০ প্রার্থী রয়েছে যাদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মতে কলেজে পড়ানোর যাবতীয় যোগ্যতা NET, SET, Ph.D রয়েছে। তারা বেকারত্ব, হতাশার অন্ধকারে ডুবে আছে। মেধাবী, যোগ্য প্রার্থীরা রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এই কারণে বলেই অভিযোগ তোলা হয়। এই প্রেক্ষিতে তারা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে কয়েক দফা দাবি জানিয়ে আবেদনপত্র প্রদান করেছে।
তাদের দাবি হল, ১, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মকে অমান্য করে, কোনোরকম যোগ্যতার পরীক্ষা না নিয়ে, অস্বচ্ছ ও অসাংবিধানিকভাবে রাজ্যের কলেজগুলিতে যে SACT নিয়োগ করা হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। ২, অতি দ্রুত CBCS-এর নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে এই মুহূর্তে যে প্রায় ৩০,০০০ শূন্য স্থায়ী অধ্যাপকের পদ রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মকে যথাযথভাবে মেনে দ্রুত স্বচ্ছভাবে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। ৩, Ph.D ডিগ্রিধারীদের CSC তে আবেদনের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ করতে হবে। ৪, রুপান্তরকামী এবং EWS ক্যাটাগরিদের CSC-তে সংরক্ষণ-এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৫, পরীক্ষার ফি কমাতে হবে। এবং ৬, ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের যে বিষয়ের এখনও ভাইভা হয়নি, যে সকল বিষয়ের এখনও মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়নি, কিংবা যে সকল বিষয়ের মেধা তালিকার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি, তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া অবিলম্বে সম্পূর্ণ করে নিয়োগের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।