সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আধার আইন পুনর্বিবেচনার আর্জি, একা লড়লেন চন্দ্রচূড়

সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আধার আইন পুনর্বিবেচনার আর্জি, একা লড়লেন চন্দ্রচূড়

ca6bc661b3ab01d0a67066b9ef4b5607

নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হয়েছিল আধার আইন। দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বতন্ত্র একটি পরিচিতি ক্রম দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই আইন পাশ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু প্রায় বছর পাঁচেক আগের আধার আইন নিয়ে জারি ছিল বিতর্ক। এমনকি শীর্ষ আদালতে এই আইন পুনর্বিবেচনা নিয়ে চলছিল মামলাও। বুধবার আইন পুনর্বিবেচনার সেই মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির একটি ডিভিশন বেঞ্চ আধার কার্ডের বৈধকরণ বিষয়ে নিজেদের রায় জানিয়েছেন। ওই রায় অনুযায়ী ৪:১ অনুপাতে আইন পুনর্বিবেচনার দাবিটি খারিজ হয়ে গেছে। ৫ জন বিচারপতির মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকি সকলেই রায় দিয়েছেন আইন বহাল রাখার পক্ষেই।

সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর, অশোক ভূষণ, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এস আব্দুল নাজির এবং বি আল গাভাই। বস্তুত, কেন্দ্রের আধার আইন বৈধ কিনা সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আগেই রায় জানিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের জমা পড়ে আবেদন। গত ১১ জানুয়ারি বিষয়িটি ফের শীর্ষ আদালতের সামনে আসে, বুধবার আদালতের ওয়েবসাইটে এই রায় আপলোড করা হয়।

এদিন একমাত্র বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আধার আইনের বিপক্ষে মত দেন। তাঁর কথায়, আধার বিল অর্থবিল ছিল কিনা, বৃহত্তর সাংবিধানিক মাধ্যমে যতদিন পর্যন্ত না সেই ধন্ধের সুরাহা মিলছে, ততদিন পর্যন্ত এই রায়ও স্থগিত রাখা উচিত। উল্লেখ্য, আধার আইনকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে ২০১৮ সালে এই বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই তার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

এদিন নিজের ১২ পাতার রায়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, আধার বিল অর্থবিল কিনা সে বিষয়ে অধিকাংশই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সেই কারণেই বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। অবশ্য বাকি চার বিচারপতিই আধার আইনের বৈধতা বিষয়ে কোনোরকম দ্বিমত পোষণ করেন নি। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কোনো মামলা বা আবেদন জমাই পড়ে নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নিজেদের স্বল্পদৈর্ঘ্যের রায়ে তাঁরা লিখেছেন, আইন সম্বন্ধে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *