রাম মন্দিরের জন্য ৫ লাখি অনুদান রাজ্যপালের, মমতার কাছেও চাওয়া হল অর্থ

রাম মন্দিরের জন্য ৫ লাখি অনুদান রাজ্যপালের, মমতার কাছেও চাওয়া হল অর্থ

ced6df5f5fa0c61178931edfb2e7029f

কলকাতা: রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল দেশজুড়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে তারা। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই অনুদান দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবার অনুদান দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ৫ লক্ষ ১ টাকা দান করেছেন তিনি। এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছেও অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানাচ্ছে, এদিন রাজভবন থেকে তারা রাজ্যপালের অর্থ সাহায্যের চেক সংগ্রহ করেন, একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে অর্থ সংগ্রহের জন্য। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১ কোটি লোকের থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে। যদিও এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী দফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির বানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দান করেছেন ৫ লক্ষ ১০০ টাকা। 

উল্লেখ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ জানা গিয়েছে, রাম মন্দির ট্রাস্টের জন্য অনুদানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আপাতত সারা দেশজুড়ে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে যা চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তাদের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবার রাম মন্দির নির্মাণের খরচ জোগাড় করতে অনুদান নেওয়া হবে আমজনতার থেকেও। এই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বর্ষীয়ান নেতা কৃষ্ণ গোপাল জানিয়েছেন, অনুদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টাকা হবে ১০, এছাড়া ১০০ এবং ১০০০ টাকার কুপন থাকবে। তবে কোনও ভক্ত যদি চান তাহলে বেশি টাকার অনুদান দিতেই পারেন। নতুন নকশা অনুযায়ী, রাম মন্দিরের উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট। প্রস্থ ২৩৫ ফুট। একেবারে ধ্বজার নীচে থাকবে গর্ভগৃহ। এখানেই অধিষ্ঠিত করা হবে রামলালাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *