কলকাতা: বাংলা রাজনীতির মঞ্চে এখন শিয়রে দুই নির্বাচন- ২০২১ বিধানসভা ও কলকাতা পুরসভা নির্বাচন৷ এই দুই নির্বাচনের প্রচারের উত্তাপ বাড়ছে ক্রমশ। এরই মাঝে শ্লোগানে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে বিতর্কের মেঘ জমেছে কলকাতায়। গত মঙ্গলবার টালিগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের এক রোড শো থেকে একটি স্লোগান ওঠে, ‘বঙ্গাল কে গদ্দারো কো গোলি মারো…’’। আর এই নিয়ে বিতর্কে জড়ান শাসক দলের এক নেতা৷ তার জেরে কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি সুভাষ সাউকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল৷ দল ব্যবস্থা নিলেও এখন পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের৷
গত সোমবার বিজেপির এক মিছিল থেকেও ‘গুলি মারার’ স্লোগান দিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এরই প্রতিবাদ স্বরূপ মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে তৃণমূলের এই মিছিল বের হয়৷ মিছিলে পা মেলান তৃণমূলের দুই মন্ত্রী- শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস। এই মিছিলেই ঘটে বিপত্তি। মিছিল চলাকালীন কিছু তৃণমূল কর্মী বাংলার ‘গদ্দার’দের গুলি মারার স্লোগান দিতে থাকে। যার ফলস্বরূপ বিরোধী দলের কাটাক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে অস্বস্তি বাড়তে থাকে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে।
বুধবার কলকাতা লাগোয়া চন্দননগর শহরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একটি মহামিছিল করে রাজ্য বিজেপি। এই মিছিলে প্রথম ‘গোলি মারো’ শ্লোগানে সূত্রপাত ঘটে। যার জেরে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বিজেপির যুব মোর্চার যুব সভাপতি সুরেশ সাউ, স্বাস্থ্য সেলের আহ্বায়ক রবীন ঘোষ ও ব্যান্ডেল যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি প্রভাত গুপ্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই বিজেপি দাবি তোলা হয়, কেন তাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে? শাসক দলের কর্মীরা কেন অধরা যাবেন? এই বিতর্কের পর ছেঁটে দেওয়া হয় তৃণমূলের ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সভাপতি সুভাষ সাউকে। কিন্তু, পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷