কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নন্দীগ্রামে গিয়ে জনসভা করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ঐতিহাসিক জনসভাই নয়, সেখানে গিয়ে বিরাট ঘোষণা করে এসেছেন তিনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন মমতা। সেই জনসভার পর এবার ফের একবার নন্দীগ্রামের যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে নয়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘প্রার্থী’ হিসেবে নন্দীগ্রাম যাবেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর এমনটাই।
জানা যাচ্ছে, মূলত জনসংযোগ বাড়াতেই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতেই আগামী মাসে নন্দীগ্রাম যেতে পারেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন নন্দীগ্রামে। এলাকায় এলাকায় চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। এবার আগামী মাসে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম সফর তাদের আরো বেশি করে উদ্বুদ্ধ করবে তা বলাই বাহুল্য। নন্দীগ্রামের জনসভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ঘোষণা করে দিয়েছেন যে তিনি এবার সেখান থেকে প্রার্থী হবেন। সেই সঙ্গে জল্পনা রয়েছে ভবানীপুর থেকেও প্রার্থী হবেন তিনি। অতএব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই জায়গায় প্রার্থী হিসেবে দেখতে পারে বঙ্গবাসী। যদিও নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, ভবানীপুরে ভয় পেয়েছেন মমতা তাই জন্যই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন। একই সুরে কথা বলেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসও।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং তাদের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন মমতা। পাঁচ বছর নন্দীগ্রামে যাওয়ার সময় পাননি তিনি, এখন নির্বাচনের আগে সেখানে গিয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে হাফ লক্ষ ভোটে হারানোর দাবি করে ফেলেছেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারা দুই জায়গার প্রার্থী হতে দেবেন না, যে কোনও এক জায়গায় প্রার্থী হওয়া যাবে এবং তা নন্দীগ্রামেই হতে হবে। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নন্দীগ্রাম নিয়ে আলোচনা এবং জল্পনা আবারও সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্য জুড়ে।