কলকাতা: নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত নিজের মনে চেপে রাখা সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন সে ব্যাপারে একেবারে স্পষ্ট বক্তব্য রাখলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে যে তিনি মর্মাহত হয়েছেন সে কথা আজ সকলের সামনে তুলে ধরলেন রাজীব।
সেচমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে আচমকা পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বনমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। কিন্তু যেভাবে তাঁর পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেটা কখনোই মেনে নিতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের সঙ্গে তিনি যখন বৈঠক সেরে বসেছেন তখন টিভিতে তাঁকে দেখতে হয়েছে তার মন্ত্রিত্ব চলে গেছে। দফতর বদলানো হয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ন্যূনতম সৌজন্যতা আশা করেছিলেন। ভেবেছিলেন তাঁকে হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে জানানো হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তাঁকে জানতে হয়েছে তাঁর নির্দিষ্ট দফতরের পদ চলে গিয়েছে। এই ব্যাপারটাই মানতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন, সেই সময়ই তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তিনি ছাড়েননি।
এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে রাজীব আরো জানান, মনে অনেক বেদনা নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিত্ব থেকে। কিন্তু এতদিনে যা সুযোগ পেয়েছেন তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, দীর্ঘদিন ধরে বহু অসন্তোষের কথা তিনি সহকর্মী এবং সহযোদ্ধাদের বলে এসেছেন, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন। অবশেষে নিজের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে রাজীব জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে এসেছিলেন, সেই কাজ করা তিনি বন্ধ করবেন না। মন্ত্রী বা বিধায়ক না থেকেও কাজ করা যায় বলে এদিন স্পষ্ট করেন তিনি।