কলকাতা: বিগত কয়েক মাসের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন বন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইস্তফা ইস্যুতে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈশালী ডালমিয়া ফের একবার তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আক্রমণ করেছেন রাজীবকেই। কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজীবের কহি পে নিগাহে কহি পে নিশানা!
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা প্রসঙ্গে কুণাল মন্তব্য করেছেন, সাংগঠনিক ক্ষমতা থেকে শুরু করে নেতৃত্তের সুযোগ দিয়েছিল দল, তার পরেও ঠিক ভোটের আগে দলকে এমন আঘাত দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ‘কাহি পে নিগাহে কাহি পে নিশানা’! একই সঙ্গে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ডোমজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ১০,০০০ ভোটে জয়লাভ করবে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে পারবেন না। একই সঙ্গে কুণাল মনে করান, সবথেকে বেশি অত্যাচারিত হয়ে তিনি মাথা উঁচু করে দলে ফিরেছেন। যখন তিনি জেলে ছিলেন তখন কারা মন্ত্রী ছিলেন রাজীব। তখন তাঁকে জেলে দেখতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনরকম দুঃখ হয়নি। এখন হচ্ছে। পাশাপাশি কুণাল আশা রাখছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দল করার পর অন্য কোন ধর্মান্ধ দলে যোগ দেবেন না। এক্ষেত্রে তিনি যে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তা বলাই বাহুল্য কারণ সাম্প্রতিক সময় জল্পনা উস্কে গিয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।
এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৈশালী ডালমিয়া বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে হাওড়া জেলা থেকে একে একে সব দক্ষ প্রশাসক দল ছেড়ে দিচ্ছে। দলের বিমুখে যাচ্ছে। আবারও প্রমাণিত হল যে দলে উইপোকা রয়েছে, তারা আস্তে আস্তে দল শেষ করে দিচ্ছে। আবার সৌগত রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনাটা আশা করা গিয়েছিল। বেশ কয়েকটা মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাননি রাজীব, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগও উঠেছিল। এমনিতেও দীর্ঘদিন কোনো কাজ করছিলেন না তিনি। নিজে পদত্যাগ করে ভালোই করেছেন, না হলে দলকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হত।