কলকাতা: মন্ত্রী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে আর নেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও এখনই তৃণমূল কংগ্রেস দল কিংবা বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা বলেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলছেই। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে মারাত্মক আক্রমণ করলেন গেরুয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বললেন, ভোটের আগেই না সরকার ভেঙে যায়! এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের অপেক্ষা করছে বঙ্গ গেরুয়া শিবির।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর মুহুর্মুহু আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ব্যাপক সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তোলাবাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে সবাইকে এক হতেই হবে এবার। যা শুরু হয়েছে তাতে ভোটের আগে সরকার ভেঙে যেতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, নতুন বাংলা গড়ার জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। কিন্তু যেহেতু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো তৃণমূল বিধায়ক আছেন তার মানে দলেই আছেন। তাই এখনই বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ কিছু মন্তব্য করতে চান না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে। যদিও তিনি তাঁর বিজেপিতে যোগদানের অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনিও জানাচ্ছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেন তার জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন। ভালো মানুষ যে তৃণমূল কংগ্রেসে আর কাজ করতে পারছে না, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ তাই আরও একবার প্রমাণ করে দেয়। এই বলে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষও করেছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সিদ্ধান্তের আসল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, যখন তাঁকে না জানিয়ে তার দফতর বদল করা হয়েছিল তার পরেই তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি নিজের মনের ভেতর অনেক ক্ষোভ রেখে কাজ করছিলেন সেগুলো সামনে আনেননি। কিন্তু বিগত এক মাসে তার কয়েকজন সহযোদ্ধা’ এবং সহকর্মী যেভাবে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন সেটা তিনি কিছুতেই মানতে পারেননি। রাজীবের কথায়, তিনি প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং হয়তো সেই আঘাত থেকেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না হলে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এখন হয়তো নিতেন না।