হাওড়া: বিধায়ক পদ থেকে বহিষ্কারের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বৈশালী ডালমিয়া। শুক্রবার হাওড়া জেলা তৃণমূলে একই সঙ্গে দুই বড় ধাক্কা। এদিন সকালে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে বালির বিধায়ক পথ থেকে বহিস্কার করা হল বৈশালী ডালমিয়াকে। বহিষ্কারের পরেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরলেন বৈশালী।
বালির বিধায়ক শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানালেন, ‘‘রাজীবদাও ইস্তফা দিল আর আমাকেও বের করে দিল। কিন্তু উইপোকা কিন্তু দলে রয়েই গেল। এই উইপোকা দলকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। আমি আগেই বলেছি দলে আমার কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল।’’ এদিন তিনি একে একে খোলসা করলেন তৃণমূলের অন্দরমহলের বিস্ফোরক কথা। জানালেন, ‘‘লিলুয়ার রাস্তা দেখে আসুন। এত খারাপ রাস্তা আর কোথাও নেই৷ বহুবার কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছি৷ তাও ঠিক হয়নি৷ হবে কী করে? ফান্ড কোথায়? সব টাকা তো প্রাক্তন কাউন্সিলরদের পকেটে৷’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই এক বছরে মানুষ কী পরিষেবা পেয়েছে বলুন তো? আমফানে মানুষ কিছুই পেল না। লকডাউনে মানুষ কিছুই পেল না। সরকার কিন্তু করছে। তবু মানুষ পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না।’’ পদ থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘আমার কাছে বহিষ্কার নিয়ে এখনও কোনও ফোন পর্যন্ত আসেনি। এটাই তো তৃণমূল৷ আমি কিন্তু দলবিরোধী কোনও কথাও বলিনি৷’’ তিনি এদিন বলেন, ‘‘দলে একজনই দুর্ব্যবহার করছে। তার জন্যই সবাই চলে যাচ্ছে। ওই একজনই তো আছে যার সঙ্গে কেউ কাজ করতে চায় না৷’’ বৈশালী ডালমিয়া কোনও কাজ করছিলেন না বলে তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে বৈশালী নিজে জানালেন, ‘‘আমি এই সাড়ে ৪ বছরে কী কী কাজ করেছি, সেটা নিয়ে একটা বই বেরচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। ওখানেই দেখে নেবেন।’’
তৃণমূলের অন্য দলত্যাগী নেতাদের মতো তিনিও কী বিজেপিতে যোগ দেবেন? বৈশালী ডালমিয়া এ নিয়ে বললেন, ‘‘আমি এসব নিয়ে এখনও কিছুই ভাবিনি। এই ঘটনাটাই তো অপ্রত্যাশিত। তবে মানুষের সেবা আমি করবই। সেটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। দল থেকে বের করে দিলেও মানুষের সেবা আমি চালিয়ে যাব।’’