উচিত ছিল নোবেল দেওয়া, তাহলে অভিমান হত না! বেসুরোদের কটাক্ষ মদনের

উচিত ছিল নোবেল দেওয়া, তাহলে অভিমান হত না! বেসুরোদের কটাক্ষ মদনের

fef07695eca09a1f335493bae7199e8f

কেশপুর: বিগত কয়েক মাসের মধ্যে দল ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রী। এখনো দলের মধ্যে রয়েছে অনেক বেসুরো। ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রচন্ড অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই বেসুরো নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নেতা মদন মিত্র। বললেন, এদের সকলকে হয়তো একটা করে নোবেল দেওয়া উচিত ছিল, তাহলে আর অভিমান হত না।

সম্প্রতি কেশপুরে জনসভা করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেই কেশপুর এই দাঁড়িয়ে পাল্টা শুভেন্দু সহ বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। যে সমস্ত নেতারা সম্প্রতি দল বিরোধী মন্তব্য করছিলেন এবং যারা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন তাদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল এদের সবাইকে একটা করে নোবেল দিয়ে দেওয়া। তাহলে না অভিমান হত, না কেউ দুঃখ পেত। এখন হঠাৎ করে সবার মান, অভিমান বাড়ছে। কিন্তু এসব নেতারা খুব শীঘ্রই গণতান্ত্রিক থাপ্পর খাবে বলে মন্তব্য করেন মদন। একই সঙ্গে দাবি করেন, যারা এখন দলবদল করে পাল্টা আক্রমণ করছেন তারা যেমন ধাপে ধাপে উঠেছেন সেইরকমই ধাপে ধাপে বেইমানি করেছেন। কেশপুরের জনসভায় মদন মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতা অজিত মাইতি, দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। 

মদন মিত্র আরো বলেন, যুদ্ধ করতে নেবে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিতে পারেন কিন্তু কোনদিন দলের সঙ্গে এইভাবে বেইমান করবেন না। প্রসঙ্গত, কেশপুর থেকে জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাটমানি থেকে শুরু করে ভোট লুট, সব ধরনের ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস, ইভিএম গুনতে দেয়নি। অন্যদিকে আগে চাল চুরি করত, এখন করোনাভাইরাস টিকা চুরি করে বলেও শ্লেষাত্মক আক্রমণ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে সেখানকার বিধায়ক এবং সাংসদকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা। দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কারণ টিকি দেখা যায়নি। একই সঙ্গে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সবাইকে একজোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *