কলকাতা: রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করার পর কেটে গিয়েছে ১১ বছর । ঝা চকচকে রাস্তা তৈরির পর গাড়ি চলাচল করেছে। অথচ যাঁরা রাস্তার জন্য জমি দিলেন তারা আজও পেলেন না সরকারি ক্ষতিপূরণ। হাইকোর্টের নির্দেশে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।
মামলার বয়ান অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইনে রাজ্য সরকার ২০০৯ সালে ডোমকলের বাসিন্দা ত্রিভাং মুরারি পালের কাছ থেকে ৪৫ শতক জমি নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকের কাছেও আবেদন জানানো হয়। কিন্তুজেলা শাসকের কাছে আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। নিরুপায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে মিলছে ফল।
মামলার শুনানিতে মামলা কারির আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে জানান, রাজ্য সরকার ক্ষতি পূরণ দেওয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করছে, এবং এবিষয়ে সঠিক তথ্য জানাচ্ছে না। তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাইলে তারা জানায় তাদের কাছে কোন তথ্যই নেই। হারিয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে পুরনো জমিঅধিগ্রহণ আইনে নয়, ২০১৩ সালের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইনে গ্রামীণ এলাকায় চারগুন এবং শহরাঞ্চলে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার যদি তারা কোন ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকেন। বিচারপতি আশিষ কুমার চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, ২০১৩ সালের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইনেই আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।