কলকাতা: তিনি ‘সাতে পাঁচে’ থাকেন না বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এখন কয়েকজনের বক্তব্য তিনি সাতেও আছেন আবার পাঁচেও। তিনি রুদ্রনীল ঘোষ। এবার গো মাংস রান্না করা নিয়েছে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে বাংলায় সেই বিষয়ে মুখ খুলে আরো বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা। তিনি নিশানা করলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তকেই। তাঁর প্রসঙ্গ তুলে রুদ্রনীলের বক্তব্য, কোন বাঙালি বাড়িতে পুজোর সময় গোমাংস রান্না হয় সেটা তিনি জানেন না।
গো মাংস রান্না করে নিয়ে দেবলীনা দত্ত যে মন্তব্য করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে একের পর এক ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, আরো এক অভিনেত্রী সায়নী ঘোষও তার বিতর্কিত টুইটের জন্য এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিযোগ করা হচ্ছে, বিজেপি সমর্থকরা তাদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছেন ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের। এই বিষয়ে রুদ্রনীল মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের হুমকি একেবারেই অভিপ্রেত নয়। এটা তিনি কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। কিন্তু তারা যে ধরনের বক্তব্য বলেছেন মূলত দেবলীনা দত্ত, সেই প্রেক্ষিতে রুদ্রনীল বলেন, পুজোর সময় কোন বাঙালি বাড়ি গো মাংস রান্না করে খায় সেটা তার জানা নেই। এমনকি বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতে মাছ রান্না পর্যন্ত হয় না, নিরামিষ খাওয়া হয়। তাই বাক-স্বাধীনতার অপব্যবহার না করে উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেতা। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন রুদ্রনীল এমন জল্পনা ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে এবার যে ইস্যু নিয়ে বিজেপি কার্যত আন্দোলন করছে, সেই ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি।
বিগত কয়েক দিন ধরেই রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে তীব্র জল্পনা। সেই জল্পনার আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ছবি। পাশাপাশি ক্রমাগত একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে চলেছেন তিনি। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের আগেই যদি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগদান করেন তাহলে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না।