দিল্লির আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র কেন্দ্র! আক্রমণাত্মক মমতা

দিল্লির আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র কেন্দ্র! আক্রমণাত্মক মমতা

কলকাতা: ফের একবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজধানী দিল্লি। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর মার্চে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সর্বত্র। লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাস, এমনকি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে আন্দোলনরত কৃষকরা লালকেল্লায় উঠে নিজস্ব পতাকা লাগানোতে শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে। এই উত্তেজক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানালেন, আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার।

মমতার বক্তব্য, আজ রাজধানীর রাস্তায় যে উদ্বেগজনক এবং দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে তিনি খুবই ব্যথিত। কেন্দ্রীয় সরকারের অসংবেদনশীল আচরণ এবং কৃষক ভাই-বোনদের প্রতি উদাসীনতা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, প্রথমে এই আইন গুলি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পাস করা হয়েছে এবং তারপর যখন দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ এবং আন্দোলন শুরু হয়েছে তারপরে সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কেন্দ্রীয় সরকার। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই আইন খুব তাড়াতাড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া। প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই দেশের কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারাও দাবি তুলেছে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেয়।

এদিকে আজ দিল্লির যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজধানীর রাস্তায় নামানো হয়েছে আধাসেনা এবং ফের একবার দিল্লির একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে দেশ। কেউ কেউ বলছেন নিজেদের দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষকরা আজ যা করেছেন তা ঠিক, তবে এর বিপক্ষে বলা হচ্ছে, যারা সাধারন মানুষকে অন্য দেন তাদের এই রূপ দেখানোর কোনো দরকার ছিল না। সংঘর্ষে না যাবার জন্য ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কৃষকদের আর্জি জানিয়েছেন অন্যদিকে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন আমরিন্দর সিং সকলকে সীমান্তে ফিরে যেতে আবেদন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =