এবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে চশমা! আজ শুরু রাজ্যের ‘চোখের আলো’ প্রকল্প

এবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে চশমা! আজ শুরু রাজ্যের ‘চোখের আলো’ প্রকল্প

কলকাতা: রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে চলতি মাসেই ঘোষিত হয়েছিল রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘চোখের আলো’। ভোট পূর্ববর্তী আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বহন করেছে আলাদা তাৎপর্য।

আজ ২৭ জানুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে চালু হতে চলেছে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের কাজ। এর মাধ্যমে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলার প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে চোখের চিকিৎসা। সামান্য থেকে গুরুতর, যে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থাই করা হবে সরকারি উদ্যোগে। মূলত রাজ্যের গ্রামীণ, প্রান্তিক এলাকার দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থেই এই প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৩৪১টি সরকারি ক্যাম্পের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ‘চোখের আলো’ প্রকল্প দেশের বৃহত্তম চক্ষু চিকিৎসা কর্মসূচি গুলির মধ্যে অন্যতম। এর মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর মাত্র এক দিনে প্রায় ১লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চলেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ ও রোগমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রায় বদ্ধপরিকর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।

‘চোখের আলো’ প্রকল্পে ঠিক কোন কোন সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী? রাজ্য সূত্রের খবরে জানা গেছে, প্রবীণদের ছানি অপারেশন থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের চশমা দেওয়া, ‘চোখের আলো’য় থাকবে সবই। মোট ১০ লক্ষ পড়ুয়ার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চক্ষুপরীক্ষার ব্যবস্থা করা  হবে, যার মধ্যে অন্তত ৪ লক্ষ পড়ুয়া পাবে চশমা। “বুধবার থেকে চালু হওয়া এই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা চল্লিশোর্ধ সকল ব্যক্তিকে এবং সরকারি স্কুলের সমস্ত  পড়ুয়াকে চশমা দেওয়ার কাজ শুরু করবো। আগামীকাল নবান্নে দুজনকে দুটি চশমা দেওয়ার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন”, বলেন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে গ্রামে গ্রামে চোখের আলো প্রকল্পের উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, চোখের আলো প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ হবে ১২০০ গ্রাম পঞ্চায়েত ১২০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি কাজ শেষ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 7 =