কলকাতা: পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে এবার আরও কড়া হল নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে নিজের এলাকা বা কর্মরত থানা এলাকায় পোস্টিং পাবেন না পুলিশ কর্মীরা।বিধানসভা ভোটে স্বচ্ছ্বতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। এতদিন এই ব্যবস্থা ভোট কর্মীদের মধ্যেই চালু ছিল। এবার সেই ব্যবস্থা কার্যকরী হবে পুলিশ কর্মীদের ক্ষেত্রেও।
পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচন যেন স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক হয় সেই ব্যাপার নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। আরো কড়া হওয়ার কারণ বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলের বর্তমান রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছে বিজেপি, তাদের সঙ্গে কার্যত সুরে সুর মিলিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পরেও নির্বাচন কমিশনের তরফ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল ইতিমধ্যেই। সেই পদক্ষেপের অন্যতম নিদর্শন মিলল এই সিদ্ধান্তে। রাজ্যে নির্বাচনের সময়ে হামলা এবং খুনোখুনির ঘটনা এর আগে একাধিকবার ঘটেছে। আর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যে বিরাট মাত্রার হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তাই রাজ্যে যাতে কোনরকম হিংসার ঘটনা না ঘটে এবারে সেটা নিয়ে এখন থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের ভোট কেন্দ্র গুলোর ভেতর যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, বুথের বাইরে রাজ্যের পুলিশ থাকলে অসুবিধা নেই। এই দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে, বিজেপির এই দাবি একেবারেই অবাস্তব এবং অবান্তর। বুথের মধ্যে এইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কখনোই থাকতে পারে না। একই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে তারা কি করে এত আসন পেয়েছে সে ব্যাপারেও খোঁচা মারা হয় ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে। তবে বিজেপির স্পষ্ট বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় সারা দেশজুড়ে অহিংসার ভোট হলেও পশ্চিমবঙ্গে ভোট লুট এবং হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই এই রাজ্য নিয়ে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।