কলকাতা: দীর্ঘ ৫ বছর পর নন্দীগ্রামে জনসভা করে নিজেকেই সেখানের প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে দলের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রবীণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি তিন দিনের সফরে তিনি নন্দীগ্রাম যাবেন বলে জানা গিয়েছে। বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকায় গিয়ে দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে দলের অবস্থা সমীক্ষা করবেন তিনি। তার পরে ফিরে এসে তিনি দলকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
দলবদল পরিস্থিতি যে ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর নন্দীগ্রাম ইস্যু আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হতে চলেছে নন্দীগ্রাম তা অবশ্য ভাবে বলা যায়। এর জন্যই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেভাগে সেখানে তদারকির জন্য কাউকে পাঠাচ্ছেন যাতে সেখানকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংগঠনিক তরফের ছবিটা একেবারে পরিষ্কারভাবে পেয়ে যান তিনি। যদি এখন থেকে সেখানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান না করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস তাহলে নির্বাচনের সময় সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আন্দাজ করা যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে জিতেছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে বিজেপির হয়ে একাধিক জনসভা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর জন্য। শুভেন্দু এও দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে হাফ লক্ষ ভোটে হারবেন মমতা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। সেই কারণে এখন নন্দীগ্রামকে ফোকাসে রেখে নির্বাচনের আগে ঘুঁটি সাজিয়ে নিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, অনুমান অধিকাংশের।