কলকাতা: বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। সেই দল বিরোধী মন্তব্য এবং কাজ কর্মের জন্যই তাঁকে বহিষ্কার করেছে ঘাসফুল শিবির। এবার জানা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩১ জানুয়ারি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই বহিস্কৃত বিধায়ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ সফরে আসছেন ৩০ জানুয়ারি। সেই সফরের পরিপ্রেক্ষিতেই বৈশালী ডালমিয়ার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। মূলত লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর সেই আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়ে ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক থেকেই বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের মধ্যে থেকেই দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন, দলে বেশকিছু উইপোকা রয়েছে যারা দলকে শেষ করছে দিনদিন। এইসব লোকেদের কাজ অন্যান্য লোকেদের বাধা দেওয়া এবং কাজে বিঘ্ন ঘটানো। লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগের পরে যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন বৈশালী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পরেও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি। অভিযোগ তুলেছেন, বলে এমন ব্যক্তি রয়েছে যারা অনেককে কাজ করতে বাধা দেয়, অকারণ জ্বালাতন করে। বৈশালীর কথায়, তিনি অনেক দিন ধরেই এই ব্যাপারে সরব হয়ে আসছেন কিন্তু বাকিরা হয়তো সেই ভাবে হতে পারেননি। এখন সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে, বিধায়ক পদ থেকে বহিষ্কারের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বৈশালী ডালমিয়া। বলেন, ‘উইপোকা কিন্তু দলে রয়েই গেল। এই উইপোকা দলকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। আমি আগেই বলেছি দলে আমার কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল’। পদ থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে বহিষ্কার নিয়ে এখনও কোনও ফোন পর্যন্ত আসেনি। এটাই তো তৃণমূল৷ আমি কিন্তু দলবিরোধী কোনও কথাও বলিনি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দলে একজনই দুর্ব্যবহার করছে। তার জন্যই সবাই চলে যাচ্ছে। ওই একজনই তো আছে যার সঙ্গে কেউ কাজ করতে চায় না৷’’