কলকাতা: অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে ‘যৌনকর্মী’ বলার জন্য দলের তরফে ক্ষমা চাইলেন বিজেপির দলীয় মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য। বললেন, ‘‘যে এই কথা বলেছেন, আমি তার হয়ে দলের পক্ষ থেকে সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ওই মন্তব্যকে ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করে না।’’ যদিও অভিনেত্রী সায়নীকে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনি আক্রামণ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা থেকে কর্মীরা৷
গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ট্যুইটারে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বাদানুবাদের মধ্যে দিয়ে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই বাক্ যুদ্ধে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। কয়েকদিন আগেই এই গরমাগরমি নয়া মোড় নেয়। বুধবার বিজেপির যুব রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রকাশ্যে ‘যৌনকর্মী’ বলে উল্লেখ করেন। তার এই কথায় তুমুল ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, “যারা শিবলিঙ্গকে বা মা মনসাকে অপমান করেন তারা যৌনকর্মী ছাড়া আর কিছুই নয়।” বিজেপির যুব রাজ্য সভাপতির শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য দলের মধ্যেই চাপে পড়ে যান তিনি। শুক্রবার অবশেষে তার করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রাজ্য বিজেপির দলীয় মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য। তিনি এদিন জানিয়েছেন, “এই ভাষা প্রতিবাদের ভাষা নয়। উনি যাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা সকপ্রার্থী। দলের পক্ষ থেকে তার পরিবার ও রাজ্যবাসীর কাছে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভারতীয় জনতা পার্টি এই কথাকে সমর্থন করে না। এই ভাষাকে ব্যক্তিগত মতামতও বলা যায় না।” কিন্তু এর পরও কি বিজেপির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন অভিনেত্রী? সোস্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের মতো গুরুতর হুমকির শিকার হতে হবে না তো অভিনেত্রীকে? উঠছে প্রশ্ন৷