ঝাড়গ্রাম: রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছেন, অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিরোধিতার খাতিরে তিনি এও জানালেন, ‘‘রাজ্যের অনেক মানুষই এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাননি। সকলেই আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন।’’
শালবনিতে বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ জনসমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই স্বীকার করে নেন, রাজ্যের মানুষ সত্যিই স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছেন। তবে বিরোধী দলে রয়েছেন বলে খানিক বিরোধীরা তো করতেই হয়! তাই নমো নমো করে বিরোধের সুরে তিনি বলেছেন, “রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এখনও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাননি। যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ সেই কার্ড কোনও কাজে লাগাননি। বাকিরা অবশ্য ছোটখাটো অসুখের জন্য সুবিধা পেয়েছেন। তবে সকলেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর কার্ডের জন্য অপেক্ষা করে আছেন।”
তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়েছেন, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি বিজেপি নেতা। তবে রাজ্যের মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন তা বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতদিন ‘স্বাস্থ্যসাথী’কে তৃণমূলের ‘ধাপ্পাবাজি’ ‘ভাওতাবাজি’ বলে কটাক্ষ করলেও রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়ে অবশেষে সুর নরম করেছেন দিলীপ ঘোষ। তার বক্তব্যকেই পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “দিলীপবাবুর অবস্থা এখন ঠিক চাঁদ সদাগরের মত৷ বাঁ হাতে মা মনসাকে ফুল দেওয়ার মতন করে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন যে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে কিছু অন্তত কাজ হচ্ছে।”