দেড়জনের কোম্পানিতে কেউ থাকতে চায় না, তাই উইকেট পড়ছে: শুভেন্দু

দেড়জনের কোম্পানিতে কেউ থাকতে চায় না, তাই উইকেট পড়ছে: শুভেন্দু

কালনা: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশাখী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, সহ এক ঝাঁক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি যেন আরো বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে ভোটের প্রাক্কালে। এ দিন কালনাতে জনসভা করে নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করলেন। শুভেন্দুর ফের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসে এখন কেউ থাকতে পারছে না, কারণ সেটা আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়।

শুভেন্দু বলেন, প্রতিদিন টিভি খুললেই একজন না একজনের উইকেট পড়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, সহ একাধিক বিধায়ক এবং নেতা ভারতীয় জনতা পার্টির শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে আজ ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীপক হালদার। শুভেন্দুর কথায়, এইভাবে প্রতিদিন কোন না কোন উইকেট পড়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ এটা এখন একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে যেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মী থাকতে পারছে না। কারণ তাদের থাকতে গেলে কোম্পানির কর্মচারী হয়ে থাকতে হবে, সহকর্মী হয়ে উঠতে পারবে না। এর পাশাপাশি আজকের বাজেটের প্রসঙ্গ তুলেও তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্তব্য করেন, আজ কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তার পরে তাদের আর কিছু বলার থাকবে না। 

এদিন ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলে কটাক্ষ করলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বর্ধমানে করোনাভাইরাস টিকা এসেছিল সেখান থেকে ১৫ টা টিকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কোম্পানির কর্মচারীরা! একজন প্রাক্তন বিধায়ক এবং বর্তমান বিধায়ক সহ অনেকেই টিকা নিয়ে নিয়েছে যেটা স্বাস্থ্যকর্মীদের পাওয়ার কথা ছিল। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ট্রিপল চুরি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে চাল চুরির অভিযোগে এ দিন ফের একবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, “আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা আমরা ফাঁকা করব।” শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসে ‘কোম্পানি’ চালানোর মতোও আরও লোক থাকবে না, বলেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *